শিরোনাম
◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৮:৫৫ সকাল
আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৮:৫৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

৩০ কেজির বস্তায় পাওয়া যাচ্ছে ২৪ কেজি

ডেস্ক রিপোর্ট: বাগেরহাটের শরণখোলায় ১০ টাকা কেজির চাল কিনে প্রতারিত হচ্ছেন হতদরিদ্র কার্ডধারী ক্রেতারা। ৩০ কেজির ইনটেক বস্তায় ৫-৬ কেজি করে কম থাকায় গতকাল শুক্রবার দুপুরে কয়েকটি বস্তা জব্দ করে পুলিশ। তবে, ওজনে কম হওয়া নিয়ে ডিলার ও খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা একে অপরকে দায়ি করছেন। এ ঘটনার পর অনেক ডিলার গুদাম থেকে চাল ছাড়াতে হিমসিম খাচ্ছেন।

অভিযোগ রয়েছে, খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট চাল সরবরাহকারী ঠিকাদার যোগসাজসে মিল থেকেই বস্তায় কম দিয়ে শেলাই করছেন। বস্তার গায়ে ৩০ কেজি লেখা থাকায় অনেকেই তা মাপার প্রয়োজন করছেন না। ফলে ডিলার ও ক্রেতা উভয়ই প্রতারিত হচ্ছেন। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ইনটেক বস্তায় চাল সরবরাহ করায় তারা ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছেন। এতে প্রতি বস্তায় ৩ কেজি থেকে ৬ কেজি পর্যন্ত কম হচ্ছে।

রায়েন্দা বাজারের ডিলার শহিদুল ইসলাম বলেন, ৪৭২ কার্ডের মধ্যে থেকে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার সময় উপজেলা খাদ্য গুদাম থেকে ২৬০ বস্তা চাল ছাড়িয়ে বিতরণ শুরু করি। খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা না মেপে প্রতিটি বস্তা ৩০ কেজি হিসেবে আমাকে বুঝিয়ে দেন। কিন্তু চাল বিতরণের সময় কোনো কোনো বস্তায় ৩ থেকে ৬ কেজি পর্যন্ত কম পাওয়ায় সুবিধাভোগীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। এ অবস্থায় আমাকে এখন চাল কিনে ৩০ কেজি করে কার্ডধারীদের বুঝিয়ে দিতে হচ্ছে।

চাল বিতরণের সময় তদারককারী কর্মকর্তা (ট্যাগ অফিসার) উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমার সামনেই গোডাউন থেকে চাল এনে বিতরণকালে তাতে কম পাওয়া যায়।

অপরদিকে, উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) দেবদূত রায় বলেন, কার্ডের সংখ্যা অনুয়ায়ী ৩০ কেজির বস্তা হিসেবে ডিলারদের বুঝিয়ে দেই। পরবর্তীতে কম হলে আমার তাতে কোনো দায়দায়িত্ব নেই।

এ ব্যাপারে মো. ডালিম তালুকদার, সরোয়ার তালুকদারসহ কয়েকজন ডিালারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, খাদ্যগুদাম থেকে চাল কম পাওয়ার কারণে অনেকেই চাল ছাড়াতে এবং বিতরণে হিমসিম খাচ্ছে।

শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দিলিপ কুমার সরকার বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে ৩০ কেজির ইনটেক বস্তায় ২৬ কেজি করে থাকায় কয়েকটি বস্তা জব্দ করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিংকন বিশ্বাস বলেন, আমি ভারপ্রাপ্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তাকে আগেই বলেছি চাল বিতরণে যেনো কোনো ধরনের ত্রুটি না হয়। এর পরও অভিযোগ ওঠায় ওজনে কম থাকা কয়েকটি বস্তা জব্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়