ডেস্ক রিপোর্ট : রংপুর-লালমনিরহাট সংযোগকারী দ্বিতীয় তিস্তা সেতুটি আগামী রোববার বেলা ১১টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধনের কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। কিন্তু উদ্বোধনের ৭২ ঘণ্টা আগেই ধসে পড়েছে সেতুটির সংযোগ সড়ক!
গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে সেতুর উত্তর পাশে ইচলী চর এলাকায় সেতুটির সংযোগ সড়ক ধসে যায়। ফলে রংপুরের সঙ্গে লালমনিরহাটের বেশকয়েকটি উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সেখানকার বাসিন্দারা ওই পথে এখন নৌকা নিয়ে যাতায়াত করছে।
জানা গেছে, কয়েক দফা মেয়াদ বাড়ানোর পর রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার মহিপুর ও লালমনিরহাটের কাকিনায় দ্বিতীয় তিস্তা সেতুটির মূল অংশের কাজ সম্পন্ন হয়েছে গত বছরের নভেম্বরে। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগেই সেতুটি চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। প্রায় ১২৩ কোটি টাকার ব্যয় হয়েছে ৮৫০ মিটার এই সেতুটি নির্মাণে। এটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল ২০১২ সালের মার্চে।
স্থানীয়রা বলছেন, সেতুটি চালু হওয়ায় লালমনিরহাট সদরসহ আদিতমারী, কালীগঞ্জ ও হাতীবান্ধার সঙ্গে গঙ্গাচড়াসহ বিভাগীয় শহর রংপুরের দূরত্ব ৩০-৫০ কিলোমিটার কমে এসেছে। সহজতর হয়েছে পাটগ্রামের বুড়িমারী স্থলবন্দর থেকে পণ্য পরিবহনও। একই সঙ্গে এসব এলাকার মানুষের যাতায়াতের ভোগান্তি অনেক কমেছে।
আগামী রোববার বেলা ১১টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতুটির উদ্বোধন করার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। সেজন্য সেতুর দুপাশে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে মূল সেতুর উত্তর দিকে ইচলী এলাকার সংযোগ সড়ক ধসে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
কালীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী পারভেজ নেওয়াজ খান বলেন, তিস্তার পানির চাপে সংযোগ সড়কের একটি ব্রিজের সামনে অংশ ধসে গেছে। সেই অংশটি দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
রংপুর বিভাগীয় কমিশনার জয়নুল বারী বলেন, বিষয়টি জানার পর আজ শুক্রবার রংপুর জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ছাড়া ধসে যাওয়া অংশ মেরামত করা জন্য প্রকৌশল বিভাগের একটি দল কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের আগেই সব ঠিক হয়ে যাবে।
-আমাদের সময়
আপনার মতামত লিখুন :