শোভন দত্ত: সামনের মাস থেকেই শুরু হচ্ছে দুর্গাপূজো। পূজো নিয়ে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে ইতিমধ্যে। চট্টগ্রামের একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শুভ দাশ পূজোর আড়ম্বরতায় অতিরিক্ত ব্যয় নিয়ে লিখেছেন তার ফেসবুকে। লেখাটি এখানে তুলে ধরা হলো।
“প্রস্তুতি কেমন চলছে সবার? সামনে তো দুর্গা পূজো। আমরা গরীব চিনি, মধ্যবিত্ত চিনি, বড়লোক চিনি। কথা হচ্ছে সর্বজনীন দূর্গা পূজোয় মোটামুটি সবার সহায়তাই থাকে।
শ্রেণীভেদে পূজো মানে উচ্ছাস। আনন্দ- নতুন কাপড় কেনার। দুঃখ- কাপড় কিনতে না পারার। অশান্তি- কাপড় কিনে দিতে না পারার।
জীবনে সবার সুখ দুঃখ থাকবে। কষ্টও থাকবে।
এখন আসি মূল কথায় শুধু আমাদের চট্টগ্রাম সিটি হিসাবে নিলে পূজো হয় ২৬৬টির বেশি। প্রতিটি পূজোর আনুমানিক ব্যয় ৬ লাখ টাকা ধরলে সর্বমোট ১৫ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। যার বেশ অর্ধেক টাকা ব্যয় হয় সাউন্ড, লাইট, ডেকোরেশানে।
আমরা কোন মেয়ের বিয়ের জন্য সাহায্য চাইলে টাকা দেই ১০ থেকে ১০০ টাকা আর পূজোর জন্য দেই ১০০০ থেকে ১০০০০ টাকা। কারণ পূজোয় টাকা দিলে সবাই বাহ বাহ দিবে নিজের নামটা একটু উপরে লিখা থাকবে তাই!
একটি বছর এই ২৬৬টি পূজোমণ্ডপ একটু খরচ কমিয়ে, মানে ডিজে, সাউন্ড কমিয়ে এবং লাইটিং, ডেকোরেশান সীমিত করে ৩ লাখের মধ্য সামলাতে পারলে শুধু চট্টগ্রাম সিটি থেকে ৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকা হাতে থাকবে। যা দিয়ে আমরা ১০টির বেশি মন্দির অথবা বৈদিক বিদ্যালয় করতে পারবো।
এখন চট্টগ্রাম সিটির মতো সারা বাংলাদেশের এর পূজোমণ্ডপ এর হিসেব করে দেখুন আপনি নিজেই।
আমরা চাইলে অনেক কিছুই করতে পারি। আসুন স্বাভাবিক পূজো করি। মনের ইচ্ছে মতো টাকা খরচ করে অস্বাভাবিকভাবে পূজো করার কোন মানে হয় না। আজেবাজে খরচ বাদ দিয়ে নিজেদের শক্তি সঞ্চার এর জন্য সর্বজনীন প্রচেষ্টায় মন্দির স্থাপন করি। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য কিছু করে যাই।”
আপনার মতামত লিখুন :