কান্তা আইচ রায় : গ্রাহক পর্যায় বিদ্যুৎ নিয়ে নানা অনিয়ম বন্ধে, পর্যায়ক্রমে সবাইকে প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। বর্তমানে সারাদেশে বিদ্যুতের তিন কোটি গ্রাহকের মধ্যে প্রিপেইড মিটারের আওতায় এসেছে প্রায় ১৬ লাখ। রাজধানীতে ২১ লাখ গ্রাহকের মধ্যে প্রিপেইড মিটার ব্যবস্থায় এসেছে সাড়ে চার লাখ।
বিদ্যুৎ চুরি ও বিল খেলাপী রোধে সারাদেশে ব্যবহার করা হচ্ছে প্রিপেইড মিটার। মিটার ব্যবস্থাপনায় সমন্বয়হীনতা ও অনিয়মের অভিযোগ তুলছেন সাধারণ গ্রাহক। কার্ড কিনতেও বিড়ম্বনার অভিযোগ তাদের। জটিলতা স্বীকার করে কর্তৃপক্ষ বলছে, সমাধানে আরো সময় লাগবে।
তবে প্রিপেইড মিটার নিয়ে ভোগান্তির অভিযোগ রয়েছে গ্রাহকের। অব্যবস্থাপনার অভিযোগ তুলে তারা বলছেন, নানা চার্জের নামে বেশি বিল আদায় করছে বিতরণ কোম্পানিগুলো। এছাড়া ভেন্টিং পয়েন্ট কম থাকায় বিল দেয়ার সময় ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
মিটার বসাতে বাড়তি টাকা নেয়ার অভিযোগও রয়েছে। বিনামূল্যের মিটার পেতে গ্রাহককে গুণতে হচ্ছে দুই থেকে ১০ হাজার টাকা। মিটারের ত্রুটি সারাতেও দিতে হচ্ছে ঘুষ।
পাওয়ার সেল এর মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, কার্ড রিচার্জ করতে গিয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন অনেকে। আমরা সমস্যা সমাধানের উপায় খুঁজছি।
প্রিপেইড মিটার ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা না আনলে ভোগান্তি আরো বাড়ার আশঙ্কা করছে গ্রাহক। সূত্র: ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন
আপনার মতামত লিখুন :