ডেস্ক রিপোর্ট : কিছুতেই যেন কমছে না ভূমি অফিসের দুর্নীতি। উল্টো পরিবর্তন এসেছে ঘুষ লেনদেনের প্রক্রিয়ায়। অনেক সাব রেজিস্ট্রার অফিসেই এখন ঘুষের অঙ্ক নির্ধারণ হয় সাংকেতিক চিহ্নের মাধ্যমে। কোথাও আবার সংশ্লিষ্টদের দৌরাত্ম্য এতটাই যে রেজিষ্ট্রেশন করতে আসা সাধারণ মানুষের দলিল হাতিয়ে নিয়ে বাড়ি লিখে নিচ্ছে নিজের নামে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়ে এক সাব রেজিস্ট্রারের ঘুষ লেনদেনের ছবি। এরপরই যেন পরিবর্তন আসে অর্থ লেনদেনে। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে দেখা যায়, নির্দিষ্ট চিহ্ন একে দিয়ে ছাড়া হচ্ছে দলিল। অর্থ লেনদেনও এখন হয় কর্মকর্তার রুমের বাইরে। ভুক্তভোগী একজন বলেন, 'আগে সাব রেজিস্ট্রার সরাসরি টাকা নিত এখন নেয় না। পেন্সিল দিয়ে মার্ক করে দেয়। মনে করেন ই লিখলে ২০ হাজার সি লিখলে ১০ হাজার। এইরকম একটা মার্ক থাকে আরকি।’
যদিও সাব-রেজিষ্ট্রারের দাবি দলিলের ভিন্নতা বোঝাতেই এমন চিহ্ন। সাব রেজিস্ট্রার বলেন, 'এটা অফিসিয়াল দলিল। এখানে পে অর্ডার আছে। ভিন্ন ভিন্ন পে অর্ডারের জন্যে এমন লেখা হয়।'
তবে রাজধানী ঢাকার তেঁজগাও অফিসের চিত্র আরো ভয়াবহ। নিজ জমিতে এপার্টমেন্ট নিয়ে জটিলতা থেকে রেহাই পেতে এই নকল নবিশের দ্বারস্থ হয়ে উল্টো বাড়িই খোয়াতে বসেছেন এই নারী। গোপন ক্যামেরায় স্বীকার করলেও সংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে উধাও অভিযুক্ত। ভুক্তভোগী নারী বলেন, 'এরা চুক্তি করছে ১ বছরের। এখন ১৭ মাস হয়ে গেছে। এখন এমন অবস্থা বাসা থেকে বের হয়ে ভিক্ষা করে খেতে হবে।'
স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহায়তায় একটি চক্র এসব কাজে জড়িত স্বীকার করে সাব-রেজিষ্ট্রার আশ্বাস দিলেন ব্যবস্থা নেয়ার। তিনি বলেন, 'এখানে শত শত স্টাফ আছে। কে কখন কি করে সেটাতো আমার বিষয় না। লিখিত অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করবো আমরা।'
ভূমি অফিসের এমন অনিয়ম থেকে মুক্তি পেতে সরকারের নজনদারি আরো বাড়ানো উচিত বলে মনে করে সাধারণ মানুষ। সূত্র : সময় টিভি
আপনার মতামত লিখুন :