ডেস্ক রিপোর্ট : যৌথ প্রযোজনা ছাড়াও ইদানিং বাংলাদেশের অনেক শিল্পী কলকাতার লোকাল প্রোডাকশনের ছবিতেও কাজ করছেন। চিত্রনায়ক শাকিব খান, জয়া আহসানের মতো তারকারা ওপার বাংলায় নিজ যোগ্যতায় জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। এতে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হচ্ছে। শাকিব-জয়া ছাড়াও বাংলাদেশের আরও অনেক শিল্পী আছেন, যারা কলকাতায় কাজ করছেন।
এ বিষয়টি এদেশের অনেকেই বাঁকা চোখে দেখেন। নাক সিঁটকান অনেকে। তাদের দাবী যে, দেশের বাইরে যারা কাজ করছেন, তার মধ্যে দেশপ্রেমের অভাব রয়েছে। কিন্তু এ কথার সঙ্গে সম্পূর্ণ ভিন্নমত পোষণ করেছেন এ প্রজন্মের নায়ক রোশান। তিনি মনে করেন, ‘দেশের বাইরে যারা কাজ পাচ্ছেন না, তারাই কথায় কতায় দেশপ্রেম টেনে আনছে’।
চ্যানেল আই অনলাইনকে ‘রক্ত’ ছবির এই নায়ক বলেন, যারা কাজ পায় তারা অবশ্যই দেশের বাইরে কাজ করবে। অনেকেই আছেন যারা কাজ পান না, সেজন্য অন্যদের বলছে দেশপ্রেমিক না কিংবা দেশদ্রোহী। এ ধরনের কথা বলা একদম ঠিক না। এটা তারা ঈর্ষান্বিত হয়ে বলেন।
জাজ মাল্টিমিডিয়া মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আগমন হয় রোশানের। এরপর ‘রক্ত’, ‘ধ্যাততেরিকি’ ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। মুক্তির অপেক্ষায় আছে রোশান অভিনীত ‘বেপরোয়া’। এই নায়ক কলকাতার ছবিতেও কাজ করেছেন। দেবের সঙ্গে রোশান অভিনীত ওই ছবির নাম ছিল ‘ককপিট’।
রোশান বলেন, প্রতিটি কাজকে আমাদের অ্যাপ্রিসিয়েট করা উচিত। দেশের বাইরে কাজ করলে সেটা আমাদের জন্য ভালো। এতে আমরা ভালো কিছু শেখার সুযোগ পাই। যেটা শিখি সেটা ঘুরে ফিরে আমরা দেশেই নিয়ে আসি। কেউ বাইরে কাজ করলে, সেটাকে আমাদের নেগলেক্ট করা উচিত না। আরও বেশি উৎসাহ দেওয়া উচিত।
এরকম আরো কথা যোগ করে রোশান বলেন, আমি যদি দেশের বাইরে কাজ না পেতাম তাহলে কখনই বলতাম না যে, যারা দেশের বাইরে কাজ করছে তারা দেশ প্রেমিক না। আমার দৃষ্টিতে এ কথার কোনো লজিক দেখি না।
উদাহরণ দিয়ে রোশান বলেন, কেউ যখন চাকরী করে, সেটা তার বাবা মায়ের জন্য করে। আমরা যখন সিনেমা করি সেটা নিশ্চয়ই আমাদের দেশের জন্য দর্শকদের জন্য করি। বাইরে কাজ করলেও সেটা তো দেশে আসছে। আমাদের দর্শক দেখতে পাচ্ছে। সেসব ছবি গ্রহণ করছে। আমি অবশ্যই বলবো, এটা ভালো বিষয়।
তিনি বলেন, শিল্পীরা সবার জন্য। আমি যদি দেশের বাইরে কাজ করি, তাহলে আমার কোয়ালিটির উন্নতি হবে। আমি বাইরে থেকে ভালো কিছু শিখতে পারবো। দেশকে সার্ভিস দেয়ার জন্য বাইরে থেকে শিখে আসা সেটা মোটেও মন্দ কিছু না।
সূত্র: চ্যালেন আই অনলাইন
আপনার মতামত লিখুন :