শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা ◈ জনগণকে সংগঠিত করে চূড়ান্তভাবে বিজয় অর্জন করতে হবে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৭:১৮ সকাল
আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৭:১৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট

ডেস্ক রিপোর্ট: চিকিৎসক সংকটের মধ্যদিয়ে চলছে আড়াইশ’ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল।
জরুরি বিভাগে চব্বিশ ঘণ্টা দায়িত্ব পালনের জন্য ৩টি পদ থাকলেও চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র একজন। তিনটি পদের মধ্যে দুটিই পদশূন্য অবস্থায় রয়েছে। হাসপাতালে জরুরি বিভাগে দায়িত্ব পালনে চিকিৎসকদের অনিহা থাকায় দুর্ভোগ ও হয়রানীর শিকার হচ্ছেন অসহায় রোগীরা।

দেশের অন্যান্য জেলা সদর হাসপাতালে জরুরি বিভাগে ৮টি পদ বহাল থাকলেও চাঁদপুর জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে পদ রয়েছে মাত্র তিনটি। চিকিৎসক থাকলেও জরুরি বিভাগে দায়িত্ব পালন করতে তাদের অনিহা থাকায় দুটি পদ শূন্য রয়েছে। ফলে প্রতিদিন হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা ঠিক মত সেবা পাচ্ছে না। রোগী ও স্বজনদের পড়তে হচ্ছে চরম দুর্ভোগে।

রোববার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, যখন হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রোগী আসে, তখন তাদের জরুরি বিভাগের সামনেই ১১৬ নম্বর কক্ষে পাঠানো হয়। কিন্তু সেখানে মেডিকেল অফিসার না থাকার কারনে তারা হাসপাতালের আরএমও’র ১১১ এবং ১১৪ নম্বর কক্ষে যান। তখন বাধ্য হয়েই রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন আরএমও। এক্ষেত্রে আরএমও এর কক্ষ খুঁজতে গিয়েও রোগীদের পড়তে হয় ভোগান্তিতে। হাসপাতালে একাধিক চিকিৎসক নিয়োগ থাকলেও জরুরী বিভাগে দায়িত্ব পালন করছেন না কেউ। তাই চিকিৎসক সংকটে খুরিয়ে চলছে হাসপাতালের গুরুত্বপূর্ণ এ বিভাগটি চিকিৎসা সেবা।

জানা যায়, সরকারি এই হাসপাতালে বিভিন্ন চিকিৎসা সেবায় বিশেষজ্ঞ বেশ ক’জন সিনিয়র কনস্যালটেন্ট ও জুনিয়র কনস্যালটেন্ট নিয়োগপ্রাপ্ত রয়েছেন। কিন্তু কেউই জরুরি বিভাগে কাজ করতে আগ্রহী নয়। তাছাড়া নারী চিকিৎসকরা আউটডোরে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিলেও জরুরি বিভাগে দায়িত্ব পালনে অনিহা প্রকাশ করছেন।

ফরিদগঞ্জ উপজেলা থেকে চিকিৎসা নিতে আসা হানিফ ঢালী বলেন, জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়ে এসে দেখি ডাক্তার নেই। হাসপাতালের কর্মচারীরাই চিকিৎসা করছেন। এভাবে চললে আমাদের সুবিধার চেয়ে অনুবিধাই বেশি হবে।

এ ব্যাপারে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আসিবুল আহসান চৌধুরী বলেন, অন্যান্য জেলায় সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্ব পালন করার জন্য পদ থাকে ৮টি। কিন্তু আমাদের এখানে পদ রয়েছে তিনটি। তারমধ্যে দুটিই পদই শূন্য। এতে করে রোগিদের চিকিৎসা দিতে আমাদের হিসসিম খেতে হয়।

তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য বিভাগের বিভাগীয় প্রদান ও স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের সচিবসহ যখন উর্ধ্বতন কর্তপক্ষ যখন চাঁদপুর সরকারি হাসপাতাল পরিদর্শনে আসলে এ বিষয়ে তাদেরকে মৌখিক এবং লিখিত ভাবে আবেদন করা হয়েছে। সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়