শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ সাভারে শো-রুমের স্টোররুমে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ২ ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ চলচ্চিত্র ও টিভি খাতে ভারতের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৩:৪১ রাত
আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৩:৪১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নামের স্বীকৃতি‘র জন্য রাজধানীর ছয় পয়েন্ট ভেড়ার মাংস বিক্রি হচ্ছে

মতিনুজ্জমান মিটু : নামের স্বীকৃতি‘র জন্য রাজধানীর ছয়টি বাজারের ছয় পয়েন্ট ভেড়ার মাংস বিক্রি হচ্ছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সমাজভিত্তিক ও বাণিজ্যিক খামারে দেশী ভেড়ার উন্নয়ন ও সংরক্ষণ (কম্পোনেন্ট-বি) ২য় পর্যায় প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ মো. হাবিবুর রহমানের সরাসরি তদারকিতে চলতি মাসের শুরু থেকে ওই মাংস বিক্রি শুরু হয়।

রাজধানীর কাপ্তান বাজারের মো. লালবাবু এন্টারপ্রাইজ, নয়াবাজারের টু-স্টার খাসির মাংসের দোকান, আলী হোসেন খান রোডের মৌলভী বাজারের জাবেদ স্টোর ও গিয়াসউদ্দিন গোস্তের দোকান, মোহাম্মদপুরের টাউন হল বাজারের একরাম মাংস বিতান এবং মিরপুরের শাহ আলী মার্কেটের ফরহাদ গোস্ত বিতানে ভেড়ার মাংস বিক্রি হচ্ছে।

মো. লালবাবু এন্টারপ্রাইজে প্রতি সপ্তাহের শুক্র ও শনিবার, টু-স্টার থাসির মাংসের দোকানে সোম ও মঙ্গলবার, জাবেদ স্টোরে বুধবার, গিয়াসউদ্দিন গোস্তের দোকানে বৃহস্পতিবার, একরাম মাংস বিতানে শনিবার এবং ফরহাদ গোস্ত বিতানে শুক্রবারে ভেড়ার মাংস বিক্রি হচ্ছে। কেজি প্রতি ৬৫০ টাকা থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এই মাংস।

জাবেদ স্টোরের প্রোপাইটার মো. জাবেদ বলেন, দোকানে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ব্যানার টানিয়ে দিয়েছি। মানুষ জিজ্ঞাসা করছে, ধারণা করা হচ্ছে ধীরে ধীরে ভেড়ার নামে ভেড়ার মাংস বিক্রি করা যাবে। আগামী বুধবার থেকে দৃই একটি করে ভেড়া জবাই করবো। গিয়াসউদ্দিন গোস্তের দোকানের প্রোপাইটার মো. গিয়াসউদ্দীন বলেন, গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু করেছি। আশা করছি আস্তে আস্তে ভেড়ার মাংস বিক্রির পরিমান বাড়বে। ফরহাদ গোস্ত বিতানের প্রোপাইটার মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, আগামী শুক্রবার থেকে নিয়মিত ভেড়া জবাই করবো। এর আগে জবাই করেছিলাম, কেজি প্রতি ৬৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পাঁচ কেজির মতো অর্ডার পেলে কালও(শুক্রবার) জবাই করবো।

প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ মো. হাবিবুর রহমান বলেন, রাজধানীসহ দেশের বাজারগুলোতে ভেড়ার নামেই ভেড়ার মাংস বিক্রি হয় এ জন্য এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ সাড়াও পাওয়া যাচ্ছে। গুনের বিচারে ভেড়া, গরু ও ছাগলের মধ্যে ভেড়ার মাংস অনেক বেশি উন্নত। নরম, সুস্বাদু এবং সহজে হজম যোগ্য ভেড়ার মাংসে আমিষ ও শক্তি অনেক বেশি। এতে ক্ষতিকারক চর্বি এবং কোলেস্টেরলের পরিমানও তুলনামূলকভাবে কম। ভেড়ার মাংসে সোডিয়াম, পটাশিয়াম, কপার এবং ফসফরাসের পরিমানও বেশি। যা বাচ্চাদের শারিরিক ও মানসিক বৃদ্ধি, টিস্যু পূন:গঠন এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ভেড়ার মাংসে ভিটামিন-এ, ই এবং সি আছে। যা এন্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে শিরা ও ধমনীতে কোলেস্টেরল জমাট হতে বাধা দেয়।
দেশে প্রচুর সংখ্যাক ভেড়া উৎপাদন হলেও ভেড়ার নামে ভেড়ার মাংস বিক্রি হয়না। দেশের বাজারগুলোতে রাতের আঁধারে ভেড়া হয়ে ঢুকে দিনের আলোতে ছাগল বা খাশির মাংস হয়ে বের হয়। এই অবস্থার অবসান হওয়া দরকার। ‘আসুন সবাই মিলে ভেড়াকে ভেড়া হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে বাজার থেকে ভেড়ার মাংস কিনে নিজে খাই এবং অন্যকে খেতে উৎসাহিত করি।’ প্রতারণার হাত থেকে বাঁচি। এতে বেশি পরিমান পুষ্টি গ্রহনে সুস্থ মেধাবী জাতি গঠন হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়