শিরোনাম
◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ২৭ বস্তা টাকা, গণনা চলছে ◈ তীব্র তাপপ্রবাহ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরও ৭ দিন বন্ধের দাবি ◈ সাতক্ষীরায় এমপি দোলনের গাড়িতে হামলা ◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক

প্রকাশিত : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৯:৩০ সকাল
আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৯:৩০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কলাপাড়ার পায়রা পোর্ট এলাকায় ঘর তোলার হিড়িক

নিনা আফরিন, পটুয়াখালী : পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পায়রা সমদ্র বন্দর ও তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকায় ঘর তোলার হিড়িক পড়েছে। অধিক মূল্য পাওয়ার আশায় পায়রা পোর্ট সংলগ্ন লালুয়া এবং ধানখালী ইউনিয়নে শতশত পরিবার ঘর গুলো তুলছে। এতে এ উপজেলার সকল কাঠের দোকান গুলোতে কাঠ সংকট দেখা দিয়েছে, পাশাপাশি কাঠ মিস্ত্রিদের সংকট থাকায় তারাও নিচ্ছে অধিক মজুরী।

স্থানীয় একাধীক সুত্র জানায়, পায়রা পোর্ট এবং তাপ বিদ্যুৎ এলাকায় সরকার জমি অধিগ্রহনের ফলে জমির মূল্যের তুলনায় ক্ষতিগ্রস্থরা ঘরের মূল্য পাচ্ছে বেশী। সম্প্রতি সময় তারা অধিগ্রহণের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছে। তারপরও বাকী জমি অধিগ্রহন হয়ে যাবে বলে তারা বিশ্বাস করছে। আন্দোলনে কোন কাজ নাও হতে পারে তাই তিন শতাধিক মানুষ নতুন করে তাদের ফসলি জমিতে ঘর তুলছে । এতে পৌরশহর সহ বিভিন্ন কাঠ ব্যবসায়ীদের কাঠ বিক্রির দোকান গুলোতে কাঠ সংকট দেখা দিয়েছে। এছাড়া কাঠ মিস্ত্রিদের নিয়েও চলছে টানা-হেঁচড়া।

ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকরা জানায়, পায়রা সমুদ্র বন্দর এবং তাপ বিদ্যুৎ এলাকায় সরকার চলমান দামের চেয়ে তিন গুন মূল্যে জমি অধিগ্রহন করছে। ফলে উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নেও জমির মূল্যে বেড়েছে কয়েকগুন হারে। অধিগ্রহনকৃত জমির প্রাপ্ত মূল্যে কলাপাড়ার অন্য এলাকায় জমি ক্রয় করা দুঃসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে শতশত পরিবার উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নে জমি ক্রয় করতে না পেরে তাদের মাথা গোঁজার জায়গা নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তবে ঘরের মূল্য জমির মূল্য’র তুলনায় অপেক্ষাকৃত বেশী পাওয়ায় মানুষ ঘর তুলে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চাচ্ছে। ঘর তোলার হিড়িকে একজন কাঠ মিস্ত্রি প্রতিদিন ৬০০ টাকা মজুরীর পরিবর্তে ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা করে নিচ্ছে। এছাড়া কাঠের মূল্যও বেড়ে হয়েছে কয়েকগুন। ঘর তোলাকে কেন্দ্র করে বেচা বিক্রি বেড়েছে লোহার দোকান সহ টিনের দোকানেও। তারাও এ সুযোগে অধিক মূল্যে বিক্রি করছেন টিন ও লোহা।

এ ব্যাপারে ধানখালী ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ এক জমির মালিক তার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন’ আমার মাত্র পাঁচ কড়া জমি ছিল। এতেই চাষাবাদ করে সংসারের খরচ চলতো। সরকার তার প্রয়োজনে জমি অধিগ্রহন করেছে। তবে সরকার কৃষকদের স্বার্থে ভূমির মূল্যে তিনগুন বাড়িয়ে দিলেও টাকা তুলতে বারবার পটুয়াখালী যাতায়াত, অফিস সহ বিভিন্ন প্রকার খরচ হয়ে যায়। ফলে যাও হাতে পাওয়া যায়, তা দিয়ে পুন:রায় অন্য জায়গায় ঘর তুলে কিংবা চাষাবাদের জমি ক্রয় করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

ক্ষতিগ্রস্থ অপর এক কৃষক জয়নাল আবেদীন জানান, যার জমি কম,তাদের অনেককেই পথে বসার উপক্রম হয়েছে। তারা প্রাপ্ত টাকায় না পারছে বাসযোগ্য ঘর তুলতে, না পারছে অন্য কোন উপার্জনের পথ খুঁজে নিতে। তবে সরকার এদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলে ক্ষতিগ্রস্থ অনেকের পরিবারের পক্ষে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়