শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৮:৪৫ সকাল
আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৮:৪৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কেসিসির ৬৩৭ কোটি ৯ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা

শরীফা খাতুন শিউলী, খুলনা প্রতিনিধি: খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি)২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য ৬৩৭ কোটি ৯ লাখ ৮৬ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে।

সিটি মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বৃহস্পতিবার দুপুরে নগর ভবনের শহীদ আলতাফ মিলনায়তনে নগরীর গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতিতে বাজেট উপস্থাপন করেন।
একই সাথে তিনি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ২’শ ৫৫ কোটি ৭৯ লক্ষ ২৯ হাজার টাকার সংশোধিত বাজেটও ঘোষণা করেন।

২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব ব্যয় ধরা হয়েছে ১’শ ৮১ কোটি ৮৯ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকা এবং সরকারি অনুদান ও বৈদেশিক সাহায্যপুষ্ট উন্নয়ন খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪’শ ৫৫ কোটি ২০ লক্ষ ৮ হাজার টাকা। নিজস্ব আয় বৃদ্ধির পরিকল্পনা, সরকার ও বিভিন্ন দাতা সংস্থার প্রতিশ্রুতি এবং জনসাধারণের চাহিদার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে এ বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে বলে সিটি মেয়র জানান।

বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কেসিসি’র অর্থ ও সংস্থাপন স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর শেখ মোঃ গাউসুল আজম এবং অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কেসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (যুগ্ম সচিব) পলাশ কান্তি বালা। অনুষ্ঠানে কেসিসি’র কাউন্সিলর, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর, কর্মকর্তা, নগরীর বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।

সিটি মেয়র প্রস্তাবিত বাজেটকে উন্নয়নমুখী হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এ বাজেটে নতুন কোন করারোপ করা হয়নি। নগরীর সড়ক ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ জলাবদ্ধতা নিরসন, শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে বাজেটে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। অবকাঠামো উন্নয়নের সাথে সাথে সেগুলি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিশেষ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। নাগরিক সেবা সম্প্রসারণ ও সেবার মানোন্নয়নের পরিকল্পনা গ্রহণের পাশাপাশি এ বাটেজে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন, পার্ক, ধর্মীয় উপসনালয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন এবং কেসিসি’র বিভিন্ন বিভাগ ও শাখা অটোমোশনের আওতায় আনা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধে মশক নিধনের সাথে সাথে স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে।

বাজেটের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা দিতে গিয়ে সিটি মেয়র বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে যে ক্ষতি নিয়মিত হচ্ছে তা মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তোলা এবং ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের স্বনির্ভর করে গড়ে তোলার দিক নির্দেশনা রাখা হয়েছে এ বাজেটে। নিজস্ব সংস্থাপন ব্যয় মিটিয়ে নগরীর বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের জন্য রাজস্ব খাত থেকে এ বাজেটে ৬৯ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (এডিপি) খাত থেকে থোক ও বিশেষ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৭৭ কোটি ৫১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। এছাড়া ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জাতীয় এডিপিতে কেসিসি’র ২টি প্রকল্পে ৯৫ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

বাজেট অনুষ্ঠানে কেসিসি মেয়র জানান, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ‘‘খুলনা মহানগরীতে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্পে’’ ১২ কোটি ৫৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ‘‘খুলনা সিটি কর্পোরেশনের গুরুত্বপূর্ণ ও ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তা মেরামত ও উন্নয়ন প্রকল্পে’’ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৮৩ কোটি ২২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। সিটি মেয়র বলেন, নগরীর সার্বিক উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণের জন্য আামরা সরকারের পাশাপাশি ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, জার্মান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, ইউএনডিপি, ইউনিসেফ, এফএও, বিল এন্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন, জার্মান উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা (জিআইজেড) সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে কাজ করি।

তারও আমাদের প্রতি সহযোগিতার হাত প্রসারিত করেছে। বর্তমানে বিভিন্ন দাতা সংস্থার ১৩টি উন্নয়ন প্রকল্প খুলনা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় চলমান রয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এসব প্রকল্পে ২৮১ কোটি ৮৮ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকার উন্নয়ন সহায়তা পাওয়া যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

বাজেট অনুষ্ঠানে সাংবাদিক ও নাগরিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে সিটি মেয়র বলেন, বর্তমান পরিষদ নাগরিক সেবা বৃদ্ধির পাশাপাশি অনেক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। তবে কিছু কাজ চলমান রয়েছে যা নতুন পরিষদ এসে সম্পন্ন করবেন। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে সিটি মেয়র বলেন, বিগত অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়ন হার ৫৮.০২৯%। সরকার ও দাতা সংস্থা থেকে আশানুরূপ বরাদ্দ না পাওয়ার কারণে বাজেটের কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হয়নি।

তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, বিএমডিএফ (বাংলাদেশ মিউনিসিপ্যাল ডেভেপমেন্ট ফান্ড) নগরীর বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ১’শ ১১ কোটি টাকা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিলেও পরবর্তীতে কোন অর্থ ছাড় না করায় গৃহীত প্রকল্পগুলি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। সিটি মেয়র আরো বলেন, খুলনা আমার প্রিয় নগরী। দায়ীত্বশীল না থাকলেও এ নগরীর মানুষের কল্যাণে আজীবন সম্পৃক্ত থেকে কাজ করে যাবো।

তিনি কেসিসির নতুন পরিষদকে স্বাগত জানান এবং তাদের সার্বিক সফলতা কামনা করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়