শিরোনাম
◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের ◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী

প্রকাশিত : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৫:০২ সকাল
আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৫:০২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাবা-মায়ের খোঁজে পাবনার পথে পথে ঘুরছেন ডেনিশ নাগরিক

নিউজ ডেস্ক: হারিয়ে যাওয়া বাবা-মায়ের সন্ধানে স্ত্রীকে নিয়ে পাবনার পথে পথে ঘুরছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ডেনিশ নাগরিক মিন্টো কারস্টেন সোনিক। ছয় বছর বয়সে হারিয়ে যাওয়া মিন্টো জানেন না কে তার বাবা-মা, কোথায় তার গ্রাম। ছোটবেলার একটি ছবিকে সম্বল করে নিজের পরিবার ফিরে পেতে পাবনার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বেড়াছেন তিনি। হারিয়ে যাওয়ার সময়কার তার ছবি দেখিয়ে জানতে চাইছেন কেউ এই ছেলেটিকে চেনেন কি-না ?

মিন্টোর বিলি করা লিফলেট থেকে জানা যায়, ১৯৭৭ সালে ছয় বছর বয়সে পাবনার নগড়বাড়ী ঘাটে হারিয়ে যান মিন্টো। সেখান থেকে চৌধুরী কামরুল হোসেন নামে এক ব্যক্তি মিন্টোকে পৌঁছে দেন ঢাকার এক আশ্রমে। ১৯৭৮ সালে ওলে ও বেনফি নামে ডেনিশ দম্পতি দত্তক নিয়ে ডেনমার্ক নিয়ে যান মিন্টোকে।

বুধবার পাবনা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সন্মেলনে মিন্টো জানান, সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম দিকে সস্ত্রীক পাবনায় আসেন তিনি। কিছুদিন আগে ফেসবুকের মাধ্যমে যোগাযোগ করেন পাবনার স্বাধীন বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে। আত্মপরিচয় অনুসন্ধানে চলে আসেন বাংলাদেশের পাবনায়। ছেলে বেলার কোনো স্মৃতিই মনে নেই তার। জানেন না বাংলা ভাষা।

তিনি আরও জানান, পুরনো কাগজ ঘেঁটে জেনেছেন মাত্র ৬ বছর বয়সে পাবনার বেড়া উপজেলার নগরবাড়ী ঘাট এলাকা থেকে হারিয়ে যান তিনি। সেখান থেকে ঢাকার ঠাটারীবাজার টেরি ডেস হোমস নামে শিশু সদনে ছিলেন। পরে শিশু সদন থেকে ১৯৭৮ সালে ডেনমাকেরএক নিঃসন্তান দম্পতি মিন্টুকে দত্তক নিয়ে যায়। সেখানেই তার শৈশব কৈশোর কাটে। বিত্ত বৈভবের মাঝে লেখাপড়া শিখে বড় হন। পেশায় একজন চিত্র শিল্পী তিনি। ডেনমাকের নাগরিক এনিটি হোলমিহেভ নামে এক চিকিৎসককে বিয়ে করে সংসার জীবন শুরু করেন। তাদের দাম্পত্য জীবনে এক ছেলে ও মেয়ে রয়েছে।

মিন্টোর স্ত্রী এনিটি হোলমিহেভ বলেন, আগে মিন্টোর তেমন সমস্যা ছিল না। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তিনি সব সময় হীনমন্যতায় ভুগতে শুরু করেন। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে খুবই দুর্ব্যবহার করতেন। মাঝে মধ্যেই মেজাজ খিটমিটে হয়ে যেত, কোনো কিছুই ভালো লাগতো না তার। অবশেষে পরিবারের সবার সিদ্ধান্তে ছোট বেলার একটি ছবিকে অবলম্বন করে ছুটে আসেন পাবনায়। গত কয়েকদিন ধরে বাবা-মা স্বজনদের খোঁজে পাবনা শহরসহ নগরবাড়ি এলাকায় চষে বেড়িয়েছেন তারা।সূত্র: জাগো নিউজ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়