জামাল হোসেন খোকন : জীবননগর পৌর এলাকার প্রধান সড়কসহ শহরের বেশ কিছু রাস্তা ভাল হলেও অধিকাংশ রাস্তার অবস্থায় বেহাল দশা। পৌর এলাকার অধিকাংশ রাস্তার ফ্লাট সোলিংয়ের মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হওয়ায় রাস্তার ইট উঠে গিয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে জনদুর্ভোগ চরমে পৌছে। আবার রাস্তা সামান্য বৃষ্টির পানিতে হাঁটু সমান পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ভুক্তভোগী পৌরবাসীর দাবী জনতার দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে পৌর পিতা দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
জীবননগর পৌরবাসীর শতভাগ নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা না গেলেও বর্তমান মেয়র ক্ষমতায় আসার পর তিনি বেশ কিছু কাজ ঢাকা সিটি করপোরেশনের আদলে করার চেষ্টা করেছেন।
তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, জীবননগর বাসষ্ট্যান্ড চত্বরে একটি মুক্ত মঞ্চ,ওয়ার্ড পর্যায়ে লাইট পোষ্টে আলোকসজ্জা,বিভিন্ন গোরস্থানের অবকাঠামো উন্নয়ন,পৌর শহরের প্রধান সড়ক পিচকরণ,রাস্তা টেকসই করতে ভারী যানবাহন চলাচল ঠেকাতে বিশেষ পোষ্টের ব্যবস্থা,প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধাসহ পৌর এলাকার গুণী,সমাজসেবকদের রাস্তার নামকরণ,শহর পরিস্কার করতে বিশেষ কর্মসুচী,মাদক প্রতিরোধে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
পৌর মেয়রের এসব উন্নয়ন কর্মকান্ড নিয়ে এলাকাবাসীর মুখে আলোচনা থাকলেও পৌর এলাকার অধিকাংশ রাস্তা-ঘাট ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন না হওয়ায় পৌরবাসীর মধ্যে বিরূপ আলোচনা শুরু হয়েছে। পৌর এলাকার কিছু রাস্তা ঘাট ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন হলেও অধিকাংশ রাস্তা ঘাট ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন না হওয়ায় বেশীর নাগরিকই সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
পৌর এলাকার অধিকাংশ ওয়ার্ডের রাস্তার ফ্লাট সোলিং অনেক আগেই উঠে যাওয়ায় জন দুর্ভোগ বেড়ে গেছে। অধিকাংশ ফ্লাট সোলিং রাস্তার মেয়াদ প্রায় ১৪-১৫ বছর হয়ে যাওয়ায় রাস্তাগুলো তার প্রকৃত অস্তিত্ব হারিয়েছে। পৌর এলাকার অনেক রাস্তায় বর্ষা মওসুমে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
বিশেষ করে শাপলাকলিপাড়া, নারায়নপুর, ডাঙ্গাপাড়া, সুবলপুর, দৌলৎগঞ্জ, রাজনগর, ইসলামপুর. গোপালনগরের বেশ কিছু রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অনেক পিচ রাস্তারও পিচ হয়ে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
খোদ তিন নম্বার ওয়ার্ড কাউন্সিলরের বাড়ীর সামনের রাস্তাটি শুধু চলাচলের অনুপযোগীই নয়,সেখানে সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটু পানি জমে।
তিন নম্বার ওয়ার্ড কাউন্সিলর আতিয়ার রহমান বলেন,রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থায় থাকলেও পৌরসভায় আর্থিক সঙ্কটের কারণে উন্নয়ন করা যাচ্ছে না। তবে পৌর মেয়র সাহেব আশ্বাস দিয়েছেন দ্রুত রাস্তার সংস্কার কাজ শুরু হবে। আগামী এক বছরের মধ্যে পৌর এলাকার সব রাস্তার উন্নয়ন শেষ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের নাগরিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে,দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানেও রাস্তা ঘাটের কোন উন্নয়ন না হওয়ায় তাদের মধ্যে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে এক ধরণের চাপা ক্ষোভ কাজ করছে। তাদের দাবী জনপ্রতিনিধিরা উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট নিলেও গত কয়েক বছরে উল্লেখযোগ্য তেমন কোন উন্নয়ন পৌর এলাকায় হয়নি।
জীবননগর পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন,বেশ কিছু টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। খুব শিগগিরই রাস্তা ঘাটের কাজ শুরু হরে। বেশ কিছু রাস্তার কাজ এ বছরেই শেষ করা হবে। অন্যদিকে আগামী এক বছরের মধ্যে সব রাস্তার উন্নয়ন শেষ করা হবে। কোন রাস্তা বাকী থাকবে না।
আপনার মতামত লিখুন :