ইসমাঈল হুসাইন ইমু : রাজধানীতে ট্রাফিক অভিযান শুরুর পর থেকে মোটরবাইক চালকদের আইন মানার প্রবনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি হেলমেট ব্যবহার বেড়েছে। সেই সাথে বিক্রিও বেড়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন ট্রাফিক সিগন্যাল ও হেলমেট বিক্রির দোকানগুলো ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বাংলামোটরের একাধিক হেলমেট বিক্রির দোকানে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকেই বিভিন্ন ব্যান্ডের হেলমেট বিক্রি হচ্ছে। তবে বেশিরভাগই কম মূল্যের। বিক্রেতারা জানান, বাইক চালকদের সাধারণত হেলমেট থাকে। বর্তমানে ট্রাফিক পুলিশ বাইক চালকদের বিষয়ে কঠোর অবস্থানে থাকায় বাইক আরোহীদের জন্যও হেলমেট রাখছেন। গত কয়েকদিন ধরে হেলমেট বিক্রি বেড়েছে। এস এম অটোসেন্টার নামক একটি দোকানে গিয়ে দেখা যায়, একজন ক্রেতা কমদামি হেলমেট খুঁজছেন। কম দামি কেন জানতে চাইলে মামুন নামের ওই বাইক চালক বলেন, একটাতো রয়েছেই, পেছনে কোন বন্ধু বান্ধব বা পরিবারের কেউ উঠতে চাইলে তাকেও হেলমটে পরতে হবে। পেছনের আরোহীর হেলমেট দামি না হলেও চলে। বাংলামোটর মোড়ে দায়িত্বপালনকারি এক ট্রাফিক সার্জেন্ট বলেন, বর্তমানে বাইক চালকরা সচেতন হয়েছেন। চালকের পাশাপাশি আরোহীদেরও হেলমেট পরতে দেখা যাচ্ছে।
এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় কয়েকদিন ধরে বাইক আরোহীর হেলমেট না থাকায় প্রায় প্রতিটি মোড়েই বাইক থামিয়ে মামলা দিতে দেখা গেছে। আর এ কারণেই হেলমেট কেনার হিড়িক পড়েছে দোকানে।
বংশাল এলাকার এক পাইকারি বিক্রেতা বলেন, সাধারণত বছরে ২শ’ থেকে সাড়ে ৪শ’ বিভিন্ন ব্যান্ডের হেলমেট বিক্রি করেন তারা। গত কয়েকদিনে ১ হাজারেরও বেশি হেলমটে বিক্রি করেছেন তিনি। তার দোকান থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার খুচরা বিক্রেতারা কিনে থাকেন। দোকানে বিভিন্ন ব্যান্ডের হেলমেটের মধ্যে রয়েছে, রিপ্লে, ইয়েমা, ইয়োহি, এসটিএম, এসএফএম, এমবিকে, এক্সবিকে, তামবির, ওজোনি, স্টিলবার্ড, এটলাস, হিরো, স্টুডাস। এছাড়াও ইয়ামাহা, হিরোহোন্ডা, রানারগ্রুপসহ বিভিন্ন ব্রান্ডের হোম্পানীর নিজস্ব হেলমেট রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :