তৌহিদুর রহমান নিটল, ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া অনলাইন টিভি চ্যানেল ‘পথিকটিভির’ ক্যামেরাপার্সন সুমন চক্রবর্তীর উপর বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে তাকে গুরুতর জখম করেছেন সন্ত্রাসীরা। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্হা করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এসময় তাঁর শরীরে চুরির আঘাতে অন্তত দেড়-শতাধিক সেলাই লেগেছে বলে জানিয়েছেন তাঁর পরিবার। বর্তমানে সে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় সদর থানার পুলিশ একটি মামলা করেছেন বলে জানা যায়।
ঘটনার বিররণে জানা যায়, গত ৯ ই সেপ্টেম্বর রোববার রাত নয়টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের সমবায় মাকের্টের সামনে ব্যস্ততম এলাকায় রাস্তার পাশে কয়েকজন যুবক বসা ছিল। এমতাবস্থায় সুমন তাদের পাশ দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় পেছন থেকে যুবকদের একজন তাকে তার নাম ধরে ডাক দিয়ে পথরোধ্য করিয়ে আলাপচারীতা শুরু করেন এবং এক পর্যায়ে তার সাথে থাকা অন্য সন্ত্রাসীরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে সুমনকে এলোপাতারি কুপাতে শুরু করলে মারাত্মক রক্তাক্ত অবস্থায় সুমন মাটিতে লুটিয়ে পড়লে সন্ত্রাসীরা দ্রুত এলাকা ত্যাগ করে চলে যান।
এ বিষয়ে সুমনের স্ত্রী অঞ্জনা চক্রবর্তী বলেন, মর্ধ্যপাড়া এলাকার বাদল ও তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা প্রায় সময় আমার স্বামীর কাছে বিভিন্ন অজুহাতে চাঁদা দাবি করতো। ঐদিনই আমার স্বামী সমবায় মার্কেটের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় বাদলের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরতর জমখ করে। সুমনের শরীরে তারা পশুর মত কুপিয়েছে। এসময় সন্ত্রাসীরা তার সাথে থাকা ডিএসএল আর সনি ক্যামেরা ও মোবাইল ফোনটি জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়।আমি এই ঘটনার সন্ত্রাসীদের সর্ব্বোচ্চ বিচার চাই।
এ বিষয়ে পথিক টিভির ব্যবস্হাপনা সম্পাদক লিটন হোসাইন জিহাদ বলেন, আমার ক্যামেরা পারর্সন সুমন উপর সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালিয়ে। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের জন্য প্রশাসনের নিকট জোড়দাবী জানাচ্ছি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া তিতাস বার্তার সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিক এম, এ মতিন শানু বলেন, আমরা বিষয়টি জেলা পুলিশের সর্ব্বোচ্চ কর্তাদের অবহিত করেছি। ওনারা বলেছেন থানায় মামলা হয়েছে। আর আমি একজন সম্পাদক হিসেবে এই নেক্কারজনক ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জ্ঞাপন করছি। দোষীদের দৃর্শান্তমূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছি।
এদিকে বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় জেলার সাংবাদিক ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের বিচার দাবী করেছেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় (ওসি) মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, থানায় মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারের জন্য আমাদের সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
আপনার মতামত লিখুন :