শিরোনাম
◈ সরকারি দপ্তরগুলোতে গাড়ি কেনা ও বিদেশ সফরে কড়াকড়ি: কৃচ্ছ্রনীতির অংশ হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা ◈ ২১ বছর বয়স হলেই স্টার্ট-আপ লোনের সুযোগ, সুদ মাত্র ৪%: বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা ◈ ঢাকায় একটি চায়না টাউন প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে: আশিক চৌধুরী ◈ তিন বোর্ডে বৃহস্পতিবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত ◈ এসএসসির ফল নিয়ে যে বার্তা দিলেন শিক্ষা উপদেষ্টা ◈ সৈক‌তের কা‌ছে দু:খ প্রকাশ ক‌রে‌ছেন ‌বি‌সি‌বির প্রধান নির্বাচক  ◈ ভারত সরকারকে আম উপহার পাঠাল বাংলাদেশ ◈ পুলিশের ঊর্ধ্বতন ১৬ কর্মকর্তা বদলি ◈ কল রেকর্ড ট্রেলার মাত্র, অনেক কিছু এখনো বাকি, অপেক্ষায় থাকুন: তাজুল ইসলাম ◈ জাতীয় নির্বাচনের সব প্রস্তুতি ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা : প্রেস সচিব

প্রকাশিত : ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৩:৩২ রাত
আপডেট : ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৩:৩২ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য শিকার ছেড়ে দিয়েছে যে গ্রামের মানুষ

নিউজ ডেস্ক: পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বন্যপ্রাণি সংরক্ষণে রয়েছে আইন। এই আইন অনুযায়ী মানুষের জন্য হুমকি নয় এ ধরনের যেকোনো বন্যপ্রাণি শিকার করা, হত্যা করা কিংবা আহত করা নিষিদ্ধ করা হয়। তবে পৃথিবীতে এমন অনেক জায়গা রয়েছে যেখানে বেশির ভাগ সময়েই এই আইন কার্যকর করা সম্ভব হয় না।

মূলত দুর্গম এলাকাগুলোতে সরকারের আইন বাস্তবায়ন করাটা চ্যালেঞ্জ হয়ে থাকে বলে এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে নির্বিচারে বন্যপ্রাণি নিধন করে মানুষ। এমনই একটি দুর্গম অঞ্চল ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ নাগাল্যান্ড। প্রজন্মের পর প্রজন্ম এখানকার অধিবাসীরা বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসছে।

সরকারের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন সময়ে এই আদিবাসীদের বোঝানোর চেষ্টা করা হলেও কোনো লাভ হয়নি। কিন্তু একপর্যায়ে নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে বন্যপ্রাণি সংরক্ষণে এগিয়ে এসেছেন নাগাল্যান্ডের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ। বন্যপ্রাণি রক্ষার জন্য শিকার করা ছেড়ে দিয়েছেন ঐ অঞ্চলের আদিবাসীরা।

৭৬ বছর বয়সী চাইয়েভি ঝিনিই একজন দক্ষ শিকারি। প্রায় চার দশক ধরে নাগাল্যান্ডের বন জঙ্গল দাপিয়ে বেড়িয়েছেন শিকারের জন্য। কিন্তু গত দেড় যুগ ধরে শিকার করা ছেড়ে দিয়েছেন চাইয়েভি ঝিনিই। খোনোমা গোত্রের এই আদিবাসীরা এক সময় জীবিকার জন্য শিকারের ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল ছিলেন।
কিন্তু ২০ বছর আগে এই গোত্রের মানুষের মধ্যে অনুধাবন আসে, ভবিষ্যত্ প্রজন্মকে সুন্দর একটি জীবন দিতে হলে এইভাবে নির্বিচারে বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ করাটা একদমই উচিত নয়। এরপর থেকেই মূলত শিকার করার বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি হয় এখানকার মানুষের  মধ্যে।
জীবিকার পাশাপাশি শিকার করাটা তাদের ঐতিহ্যেরও একটা অংশ। তাই জীবিকার জন্য শিকার ছেড়ে দিলেও তারা ঐতিহ্য ধরে রাখতে মাঝে মধ্যে বিভিন্ন উত্সব-পার্বণে শিকার করতো। কিন্তু সেই ঐতিহ্য রক্ষার সংস্কৃতি থেকেও তারা অনেকটাই বেরিয়ে এসেছেন।সূত্র: বিবিসি
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়