সাজিয়া আক্তার : বাংলাদেশে এখনো শিক্ষা আর কর্মক্ষেত্রে শতভাগ সমতা আসেনি নারী-পুরুষের। যদিও শিক্ষায় সমতা আনতে বিভিন্ন উপবৃত্তি এবং প্রণোদনার কথা জানালেন শিক্ষামন্ত্রী। বিশেষজ্ঞদের মতে সরকারি-বেসরাকারি নানা উদ্যোগের পাশাপাশি নারী-পুরুষের ভেদাবেদ কমাতে সামাজিক কাঠামোর পরিবর্তনের সাথে সাথে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন জরুরি।
দেশ খুশিতে ভাসে, গর্বিত হয় জাতি। যখন এসএসসিতে মেয়েদের পাশের হার হয় ৭৮ শতাংশ। জেএসসি মাধ্যমিক কিংবা উচ্চমাধ্যমিকে প্রতি বছরেই ভাল ফল করে ছাত্রীরা। সেই সাথে শিক্ষায় বাড়ে ছাত্রীদের অংশগ্রহণ।
শিক্ষা পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসেব বলছে, এখন প্রাথমিকের মোট শিক্ষার্থীর ৫১ শতাংশ, মাধ্যমিকে এর হার ৫৪, আর উচ্চমাধ্যমিকে সাড়ে ৪৮ শতাংশ। যদিও উচ্চ শিক্ষার স্থরে এটি অনেকটাই কমে ৪২ দশমিক ৫/৭ এ দাড়িয়েছে।
প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত প্রতি ধাপে ছাত্রীদের ঝড়ে পড়ার এই হার মোকাবেলাই এখনকার চ্যালেঞ্জ। উচ্চমাধ্যমিকে ছাত্রীর সংখ্যা বাড়িয়ে সমতা আনার কথা বলছেন শিক্ষামন্ত্রী।
শিক্ষামন্ত্রী নরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, উচ্চ শিক্ষার জন্য আমরা বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিচ্ছি। আমরা ছাত্রীদের জন্য বৃত্তি দিচ্ছি, উপবৃত্তি দিচ্ছি এবং তা পিএসডি করা পর্যন্ত। মাধ্যমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিকে উঠার সময় দেখা যা মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। আর এই বিষয়টা আমরা আস্তে আস্তে দূর করাবার চেষ্টা করছি।
তেমনি সংকট আছে উচ্চ শিক্ষার গন্ডি পেরিয়ে নারী কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রেও। পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসেবে ১ কোটি ৬৮ লাখ নারী বর্তমানে কর্মক্ষেত্রে রয়েছে। মোট জনসংখ্যার হিসেবে এটি এখনো সন্তোষজনক নয়।
শিক্ষা থেকে শুরু করে কর্মসংস্থান সব পর্যায়ে সমান অংশগ্রহণের সুযোগ বাড়লে দূর হবে ভেদাবেদ।
সূত্র : একাত্তর টেলিভিশন
আপনার মতামত লিখুন :