মাহফুজ নান্টু: কুমিল্লা ব্রাহ্মনপাড়ায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সংঘর্ষের ঘটনায় দুইজন নিহতের ঘটনায় পুলিশ এজহারে উল্লেখিত পাঁচজন আসামীকে আটক করে। গত ৮ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শিদলাইয়ে বাড়ীর সীমানা নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুইগ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে খোরশেদ আলম (৫০) এবং সানু মিয়া (৬২) নামের দুই ব্যাক্তি নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণপাড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
ব্রাহ্মনপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আবু মোঃ শাহজাহান কবির আসামী আটকের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি বলেন, ঘটনার পরদিন গত ৯ সেপ্টেম্বর নিহত খোরশেদ আলমের স্ত্রী নাছিমা আক্তার বাদী হয়ে প্রতিপক্ষের অর্ধশতাধিক লোককে এজাহার নামীয় এবং ৩০ থেকে ৩৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলাটি দায়ের করে। মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ এ পর্যন্ত ৫ জন এজাহার নামীয় আসামীকে গ্রেফতার করেছে।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গতকাল রবিবার ব্রাহ্মণপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আবু মোঃ শাহজাহান কবির এর নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স সহ উপজেলার দক্ষিণ শিদলাই ৯ নং ওয়ার্ডে অভিযান পরিচালনা করে। এসময় ঐ এলাকা থেকে জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে ইয়াছিন(২২), আবু মিয়ার ছেলে কাশেম (৫০) এবং শানু মিয়ার ছেলে রফিক (২০), হাজী আঃ বসু মিয়ার ছেলে আবুল কালাম (৩০) এবং একই গ্রামের অজ্ঞানাম আসামী আনোয়ার’কে গ্রেফতার করে হয়। পরে পুলিশ গতকাল সকালে গ্রেফতারকৃতদের জেল হাজতে পেরণ করেন। অন্য আসামীদের আটকের ব্যাপারে অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য যে, বাড়ীর জায়গা নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত শনিবার সকালে অ্যামরিকা প্রবাসী শামছুল হক গ্রুপের লোকজন প্রতিপক্ষ মফিজ গ্রুপের বাড়ি ঘরে হামলা চালায়। এসময় খবর পেয়ে মফিজ গ্রুপের লোকজনও পাল্টা হামলায় লিপ্ত হয়। এতে দুই গ্রুপের নারী পুরুষসহ ১০ জন আহত হয়েছে। পরে এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সহ বিভিন্ন হাসপালে ভর্তি করে।
এঘটনায় শমছুল হক গ্রুপের মৃত আবদুল ওয়াদুধ মেম্বারের ছেলে খোরশেদ আলম (৫০) ঘটনাস্থলে নিহত হয় এবং একই দলের মৃত ছোবহানের ছেলে শানু মিয়া (৬২) কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় ঘটনার দিন সকালেই মারা যায়। পরে একই দিনে শোরত হাল রিপোর্ট ও ময়না তদন্ত শেষে নিহত খোরশেদ আলমের লাশ তার নিজ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় এবং অপর দিকে একই দিনে নিহত শানু মিয়ার লাশ কুমিল্লা রেইসকোর্স এলাকায় দাফন করা হয়। বর্তমানে ঐ এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে ঘটনার দিন থেকেই ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে।
আপনার মতামত লিখুন :