শিমুল মাহমুদ ও আবু হায়াত মাহমুদ : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তিন মাস হাতে রেখেই আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। থেমে নেই র্দীঘ দশ বছর ক্ষমতার বাহিরে থাকা প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপিও।
সেনা মোতায়েন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জনপ্রিয় তৃতীয় মাত্রা টকশো উপস্থাপক জিল্লুর রহমানের দেওয়া এক ফেসবুক জরিপে ২৪ ঘন্টায় অংশ নিয়েছেন ৪৪২০ জন। নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৩৯৭২ জন। শতকরা হিসেবে এই ভোটের পরিমান ৮৮.৮৬ ভাগ। আর বিপক্ষে ভোট পড়েছে ১০.১৪ ভাগ। ৪৪৮ জন সেনা মোতায়েন হোক তা চান না। ভোট করতে গিয়ে অনেকে নানা রকম মন্তব্য, ব্যাখ্যাও দিয়েছেন।
ফলাফলের বিষয়ে জানতে চাইলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য কর্নেল (অব.) মুহম্মদ ফারুক খান বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি নির্বাচনেই কম-বেশি সেনা মোতায়েন হয়েছে। একাদশ সংসদে কোথাও সেনা মোতায়েন দরকার হবে কিনা তার সিদ্ধান্ত নিবে নির্বাচন কমিশন।
তাছাড়া নির্বাচনকালীন সময়ে সারা দেশে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রের পরিস্থিতি কেমন হতে পারে গোয়ন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে নির্বাচনকালীন সরকার প্রধান ও রাষ্ট্রপতির অনুমতি সাপেক্ষে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে তাৎক্ষনিক সিদ্ধান্ত হবে।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারে নাই।এরপর কোন স্থানীয় সরকারের নির্বাচনেও মানুষ ভোট দিতে পারেনি।ভোটের প্রতি জনগণের এক ধরনের অনীহা ও অশ্রদ্ধা জন্মনিয়েছে। সেনা মোতায়েন ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচনের সম্ভব যতোই মুখে বলা হোক না কেন এটা কেউ বিশ্বাস করবে না। তাই জনগণকে ভোটের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হলে সুষ্ঠু নির্বাচনের ক্ষেত্রে সেনা মোতায়েন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আপনার মতামত লিখুন :