শিরোনাম
◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারি ছিলেন জিয়াউর রহমান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি ◈ টাইমের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা ◈ দেশের মানুষকে ডাল-ভাত খাওয়াতে  ব্যর্থ হয়েছিল বিএনপি : প্রধানমন্ত্রী ◈ দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েল ফসফসরাস বোমা হামলা ◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি ◈ ওবায়দুল কাদেরের হৃদয় দুর্বল, তাই বেশি অবান্তর কথা বলেন: রিজভী ◈ মুজিবনগর দিবস বাঙালির শৃঙ্খলমুক্তির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৩:০৮ রাত
আপডেট : ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৩:০৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইটভাটার দৌরাত্মে বাংলাদেশে বাড়ছে বায়ুদূষণ

লিহান লিমা: ইটভাটা বাংলাদেশে একটি রমরমা ব্যবসা। এর সঠিক পরিমাণ গণনা করা কঠিন। এই খাতে কর্মরত ১০ লাখেরও বেশি শ্রমিক প্রতিবছর ৭ হাজার ভাটা থেকে প্রায় ২৩শ’কোটি ইট উৎপাদন করেন। নির্মাণশিল্প এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের কারণে ইটের চাহিদাও বাড়ছে। আনডার্ক অর্গানাইজেশনের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে আসে।

বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল ছাড়াও ঢাকায় রয়েছে প্রায় ১ হাজার ইটভাটা। ঢাকা বিশ্বের অন্যতম বায়ুদূষিত শহর, যার অন্যতম কারণ ইটভাটা থেকে নির্গত হওয়া দূষিত বায়ূ। বাংলাদেশে জিডিপিতে ইটভাটার সংযোজন মাত্র ১ শতাংশ। অন্যদিকে ঢাকার ৬০ ভাগ বায়ুদূষণের কারণই এই ইটভাটা। অপর্যাপ্ত প্রযুক্তির কারণে এই ইটভাটাগুলোর কোন দূষণবিরোধী নিয়ন্ত্রণ নেই। ‘স্টেটস অব গ্লোবার এয়ার’২০১৮ এর প্রতিবেদনে বলা হয়, অকালে মৃত্যুর অন্যতম ৬টি ঝুঁকি সবগুলোই ঢাকাতে রয়েছে। ঢাকার বাতাসে রয়েছে মানবদেহের জন্য বায়ুতে থাকা সবচেয়ে ক্ষতিকর উপাদান পিএম ২.৫ । এক গবেষণায় দেখা যায়, ২০১৪ সালে ঢাকাতে ১৪ হাজার মৃত্যুর জন্য দায়ী ছিল পিএম ২.৫। দুই বছর পর গবেষকরা দেখেন বাংলাদেশের ১ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ পিএম২.৫।

বাংলাদেশের পরিবেশমন্ত্রণালয় জানায়, দেশের ৪ হাজার ৩৯০টি ভাটা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ৬০৫টি অবৈধ ভাটাকে জরিমানা করা হয়েছে এবং ৩২টি বন্ধ করা হয়েছে। ইলিয়ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শ্যারল ওয়েন্ট বলেন, এটি খুবই প্রাথমিক পদক্ষেপ। ২০১৩ সালে বাংলাদেশে ইটভাটা বিষয়ক নতুন আইন প্রণয়ন করা হলেও অনেক ভাটা মালিকরা বলছেন, সব নিয়ম মানতে হলে তাদের ব্যবসা ছাড়তে হবে।

বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের বিশেষজ্ঞ তানভির আহমেদ বলেন, ‘ইটভাটা কোন স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিল্পখাত নয়। ভাটা মালিকরা কোন ধরনের আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ গ্রহণ করতে পারেন না।’ ইউএনডিপি এবং বাংলাদেশ ডিওই এর যৌথ প্রতিবেদনে দেখা যায়, ‘ইটভাটা মৌসুমি কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং পুরনো প্রযুক্তি ব্যবহার করে, যা বৃহত্তর সহযোগিতামূলক খাতে অবদানে ব্যর্থ।’ ইটভাটার কারণে বায়ুতে দূষণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া ছাড়াও কৃষি খাতের ক্ষতি, স্বাস্থ্য ঝুঁকি এবং এই খাতে কর্মরত শ্রমিক ও তাদের পরিবারের মারাত্মক স্বাস্থ্যহানি হচ্ছে। প্রযুক্তি ব্যবহার এবং আধুনিকায়ন না করায় ইটভাটাগুলো দশকব্যাপী পরিবেশের ক্ষতি সাধন করে চরলে। আনডার্ক,অর্গ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়