স্বপ্না চক্রবর্তী : জ্বালানিকে কে কর্মশক্তির উৎস হিসেবে মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মানুষের কর্মক্ষমতাকে বাড়িয়ে দিয়েছে। একটা মানুষ কাজ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গেলে নতুন ভাবে কাজ করতে যেমন এনার্জির প্রয়োজন তেমনি একটি দেশকে নতুন ভাবে তৈরি করতে জ্বালানির বিকল্প নেই। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ সহসাই উন্নতির শিকড়ে পৌছাবে বলে আমি মনে করি।
শনিবার রাজধানীর বসুন্ধর কনভেনশন সেন্টারে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘অনির্বাণ আগামী’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গত বৃহস্পতিবার (৬ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হওয়া বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই এলাহী বরেন, বাংলাদেশ ২০হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাইলফলক স্পর্শ করেছে। এটি সম্ভব হয়েছে আমাদের দেশের বিরল প্রতিভাধর তরুণদের কারণে। তাদের মেধা আর দক্ষতার ব্যবহার করেই এই বিশাল অর্জন সম্ভব হয়েছে।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। ড. আহমদ কায়কাউস জানান, দেশের ১২৪টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্থাপিত উৎপাদন ক্ষমতা ১৭হাজার ৪৩ মেগাওয়াট। এর সঙ্গে ক্যাপটিভ পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো থেকে আরও ২হাজার ৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়াও নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে আরও প্রায় ২৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে। সে হিসেবে মোট উৎপাদন ক্ষমতা বর্তমানে মোট উৎপাদন ক্ষমতা দাঁড়িয়েছে ২০হাজার ১৩৩ মেগাওয়াট। এই পরিমাণ আরও বাড়বে সেপ্টেম্বর থেকে আরও ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি শুরু হলে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ২০০৯সালে ক্ষমতা গ্রহণের সময় বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা ছিলো মাত্র ৪হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট। আমরা এটিকে ২০হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছি। মাত্র ১০বছরে এই অগ্রগতি নি:সন্দেহে একটি বিরল অর্জন। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সপ্তাহে আলোক উৎসব উদযাপনের মাধ্যমে আমরা এটিকে স্মরণীয় করে রাখছি।
সমাপনী দিনে বিদ্যুৎ বিভাগের উন্নয়নে অবদানের জন্য সরকারি এবং বেসরকারি খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন অর্থমন্ত্রী। সম্মাননা প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ডেসকো, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড, বাপেক্স, এনার্জিপ্যাক, সাইফ পাওয়ারট্যাক উল্লেখযোগ্য।
আপনার মতামত লিখুন :