শিবলী রহমান: দ্বিতীয় বারের মতো ঢাকায় অনুষ্ঠিত হওয়া দা ফোরাম অফ ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট বডিস অফ সাউথ এশিয়া (ফেমবোসা) এ অংশ নিচ্ছেন না পাকিস্তান ও মালদ্বীপের নির্বাচন কমিশনাররা। সার্কভুক্ত আটটি দেশের নির্বাচন কমিশনাররা এ সম্মেলনে অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও পাকিস্তান ও মালদ্বীপের কমিশনাররা অংশ নিচ্ছেন না বলে যানা যায়। এ ছাড়া পাঁচটি দেশের নির্বাচন কমিশনাররা ঢাকায় পৌঁছেছেন।
আয়োজনের দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মানব সম্পদ উন্নয়ন কল্যান বিভাগের উপ-সচিব মো. আব্দুল হালিম খান বিষটি ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘মালদ্বীপ ও পাকিস্তান এই সম্মেলন বয়কট করেনি। তাদের রাষ্ট্রদূতরা কালকের সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন। তারা আজকে আমাদের নৈশভোজে অংশ নিয়েছে।’
তবে ‘পাকিস্তানের যে প্রতিনিধিকে আসার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, সেখানে একটি উপ-নির্বাচন পড়ে যাওয়ার কারণে তিনি আসতে পারেননি। আর মালদ্বীপে কয়েকদিন পরে সাধারণ নির্বাচন আছে, সেজন্য মালদ্বীপের নির্বাচন কমিশন আসতে পারেননি। এই দুই দেশেরই প্রতিনিধি হিসেবে সম্মেলনে তাদের বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতরা উপস্থিত থাকবেন।’
ইসি সূত্রে জানা যায়, পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের প্রাদেশিক নির্বাচন কমিশনার জাফর ইকবাল হোসেনের সম্মেলনে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। তবে মালদ্বীপের সুর্নিদিষ্ট কোনো প্রতিনিধির নাম উল্লেখ ছিল না।
কমিশনের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) এস এম আসাদুজ্জামান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, আগামী ৫-৬ সেপ্টেম্বর ফেম্বোসার নবম সম্মেলন ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী রেডিসন ব্লু হোটেলে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন। সম্মেলনে ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, আফগানিস্তান, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ নির্বাচন কমিশন থেকে মোট ২১ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করবেন। এ ছাড়া স্বাগতিক বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনও অংশ নেবে।
বাংলাদেশের উদ্যোগে ২০১০ সালে ফেমবোসা যাত্রা শুরু করে। পর্যায়ক্রমে ২০১১ সালে পাকিস্তান, ২০১২ সালে ভারত, ২০১৩ সালে ভুটান, ২০১৪ সালে নেপাল, ২০১৫ সালে শ্রীলংকা, ২০১৬ সালে মালদ্বীপ ও ২০১৭ সালে আফগানিস্তানে সংস্থাটির বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দেশের নামের ক্রমানুসারে ২০১৮ সালে বাংলাদেশে নবম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :