লিহান লিমা: রয়টার্সের দুই সাংবাদিকের ৭ বছরের জেল দেয়ার পর মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চী ছিলেন নীরব। রোহিঙ্গাদের জাতিগত নিধন ও নির্যাতনের ইস্যুতে চুপ থাকার পর এবার নীরব ছিলেন গণমাধ্যম এবং বাক-স্বাধীনতার ওপর ধর-পাকড়েও।
এই ইস্যুতে নিজের নীরবতার জন্য আবারো গোটা বিশ্বের সমালোচনার মুখে পড়েন সু চি। একসময় গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করায় ১৫ বছর গৃহবন্দী থেকেছেন সু চি। নিজের আন্দোলনে পাশে থাকার জন্য নির্ভর করেছেন বিদেশি গণমাধ্যমের ওপর।
এবার নিজ দেশেই সাংবাদিকদের গ্রেপ্তারে তার নীরবতার সাফাই গাইতে গিয়ে মঙ্গলবার এক কর্মকর্তা বলেন, বিচারবিভাগের সমালোচনা করা থেকে বিরত থেকেছেন সু চি। মিয়ানমারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি অং হ্লা তুন বলেন, ‘বিচার বিভাগের স্বাধীনতার সমালোচনা আদালতের অবজ্ঞা করার শামিল। আমি মনে করি তিনি এটি করবেন না।’
রাখাইনে গণহত্যা ও নির্যাতনের শিকার হয়ে সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গার বাংলাদেশে পালিয়ে আসা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় রয়টার্সের দুই সাংবাদিক ওয়া লোনি (৩২) ও কাও সু (২৮) কে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার ইয়াঙ্গুনের আদালত তাদের রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অভিযোগে ৭ বছরের কারাদ- দেয়। জাতিসংঘ, ইউরোপিয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেন সাংবাদিকদের ওপর এই ধর-পাকড়ের তীব্র নিন্দা জানায়। এর আগে গত সপ্তাহে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সু চির নৈতিক অবক্ষয় ঘটেছে। এএফপি।
আপনার মতামত লিখুন :