শিরোনাম
◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও

প্রকাশিত : ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৫:০৩ সকাল
আপডেট : ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৫:০৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় মেরে ফেলেছি’

ডেস্ক রিপোর্ট : প্রেমের পর বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকায় প্রেমিকাকে নিজ হাতে খুন করেছে তার বিবাহিত প্রেমিক। গত মাসে টাঙ্গাইলের নাগরপুরে অষ্টম শ্রেণির স্কুলছাত্রী খালেদা আক্তার পপির গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আটক তার প্রেমিক গোলাম মোস্তফা রাকিব স্বীকার করেছে, বাড়ি থেকে বের হয়ে এসে বিয়ের জন্য জোরাজুরি করায় পপিকে হত্যা করেছে সে। রোববার বিকেলে টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুনের আদালতে জবানবন্দি দেয় রাকিব।

রাকিব নাগরপুর উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের সহবতপুর উত্তরপাড়া গ্রামের ওয়াজেদ আলী মিয়ার ছেলে। রোববার ভোরে পুলিশ তার বাড়ি থেকে আটক করে তাকে। সেই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু ও তার মোবাইল ফোন জব্দ করে।

নাগরপুর থানার ওসি মাঈন উদ্দিন জানান, গত ৬ আগস্ট এলাকাবাসী উপজেলার নলসন্ধ্যা এলাকায় একটি বাঁশঝাড়ের মধ্যে পপির গলাকাটা লাশ দেখতে পায়। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে থানায় নেয়। তাকে গলাকেটে ও চাকু দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়। পপির বাড়ি উপজেলার তারাবাড়ি গ্রামে। সে মামুদনগর মুক্তিযোদ্ধা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিল। ওই দিনই ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

এ ঘটনায় নিহত পপির বাবা ৭ আগস্ট অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে নাগরপুর থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় তিনজনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে কিছু না পাওয়ায় ২৯ আগস্ট তাদের ছেড়ে দেয় পুলিশ। তবে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে পুলিশ জানতে পারে পপির সঙ্গে রাকিবের প্রেম ছিল। রাকিব বিবাহিত ও পেশায় নির্মাণ শ্রমিক। রোববার ভোরে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

রাকিব আদালতকে জানায়, প্রেমের পর বিয়ের জন্য ব্যাপক চাপ দিতে থাকে পপি; কিন্তু সে কয়েক মাস আগে বিয়ে করেছে। এ কারণে পপিকে জানিয়ে দেয়, তাকে বিয়ে করা সম্ভব নয়। এরই মধ্যে রাকিবকে ফোন করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে পপি। তাকে কোথাও নিয়ে গিয়ে বিয়ের জন্য জোরাজুরি করতে থাকে; কিন্তু পপির দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তাকে সারাদিন টাঙ্গাইল শহরে ঘুরিয়ে রাতে নাগরপুরের নলসন্ধ্যায় নিয়ে যায়। সেখানে একটি বাঁশঝাড়ের মধ্যে নিয়ে তাকে প্রথমে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য গলা কেটে ও চাকু দিয়ে শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত করে পালিয়ে যায় রাকিব।-সমকাল

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়