সাজিয়া আক্তার : পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই খুলে দেওয়া হবে দুই পাশের চারলেনের ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন আগামী বছরের জুন মাসে চারলেনের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এবছরের মধ্যে খুলে দেওয়া সম্ভব হবে সড়কটি। এতে পাল্টে যাবে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানীর যোগাযোগ ব্যবস্থা।
যন্ত্রের বিকট শব্দ, প্রকৌশলীদের তৎপরতা আর দিন রাত পরিশ্রমের ফলে মাটি ফুরে আকাশের বুকে দারিয়ে যাচ্ছে একের একের পর এক কাঠামো।
মূল সেতু হয়ে গেলে বাড়বে যানবাহনের চাপ। যেখানে বর্তমান দুইলেনের পক্ষে বাড়তি এ যানবাহন সামাল দেওয়া সম্ভব হবে না। তাই আগে থেকেই সড়কটিকে চারলেনে উন্নিত করার কাজ এগিয়ে চলছে দুর্গম গতিতে।
রাজধানীর যাত্রাবাড়ি থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার আর মাদারিপুর থেকে ফরিদপুর পর্যন্ত দেশের ২০ কিলোমিটার এই সড়কটি হবে দেশের প্রথম এক্সেপ্রেস ওয়ে। কোনো ট্রাফিক সিগনাল না থাকায় নিরবিচ্ছিন্ন থাকবে গাড়ির গতি।
এই মহাসড়কে কাঠামো নির্মাণ হয়েছে সব মিলিয়ে ১১৬টি, ছোট-বড় সেতুই থাকবে ৩১টি, ৬টি ফ্লাইওভার ৪টি রেলওয়ে ওভারপাস, ১৫টি আন্ডারপাস আর ৩টি ইন্টারটেন্সের সুবিধা। চারলেন মহাসড়কের দুইপাশে স্থানীয় জনগণ চলার জন্য থাকবে পাঁচ মিটারের আলাদা দুটি লেন। নামে চারলেন হলেও সুবিধা পাওয়া যাবে ছয়লেনের।
কাজ শেষ করার কথা ২০১৯ সালের জুন মাসের মধ্যে। এ লক্ষে পুরো কাজ একটি প্রতিষ্ঠানকে না দিয়ে ৮ কিলোমিটার করে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন ঠিকাদারকে। নির্ধারিত সময়ের আগেই কাজ শেষ করার বেপারে আশাবাদি সরকার।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, চার লেনের কাজটি শেষ করার কথা ২০১৯ সালের জুন মাসের মধ্যে, কিন্তু আমরা আশা করছি আগামী অক্টোবর মাসে প্রধানমন্ত্রী উদ্ভোধন করবেন।
এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার কন্সস্টাকসান ব্রিগেট। পুরো প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ২৫২ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
সূত্র : সময় টেলিভিশন
আপনার মতামত লিখুন :