ইফ্ফাত আরা: পাকিস্তানে ২০১৮ সালের প্রথম ৬ মাসে ২ হাজার ৩২২জন শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে সহিংসতার বিরুদ্ধে শিশুদের সুরক্ষার জন্য একটি এনজিও প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৭ সালের প্রথম ৬ মাসের শিশু নির্যাতন থেকে এ বছরের নির্যাতনের পরিমাণ বেড়েছে ৩২ শতাংশ।
এনজিও সাহিলের করা ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ‘নির্মম সংখ্যার প্রতিবেদন’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি পাকিস্তানের সকল সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে। পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মিরসহ পাকিস্তানের চারটি প্রদেশেই ২,৩২২ শিশু নির্যাতনের প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে। ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত শিশু নির্যাতনের সংখ্যা ছিলো ১,৭৬৪।
২০১৮ সালের প্রথম অর্ধেকে নির্যাতনের সংখ্যা থেকে ধারণা করা হচ্ছে সারাদেশে তাহলে প্রতিদিন নির্যাতনের শিকার হয় ১২ এর অধিক শিশু। ৬ মাসের তথ্যানুযায়ী নির্যাতনের শিকার হওয়া ১,২৯৮ (৫৬ শতাংশ) কন্যা শিশু এবং ১,০২৪(৪৪ শতাংশ) ছেলে। এনজিও’র প্রতিবেদনটিতে আরও দেখা গেছে প্রধান অপরাধগুলোর মধ্যে অপহরণ হয়েছে ৫৪২ শিশু, সমকামিতার শিকার ৩৮১, ধর্ষণের শিকার ৩৬০, নিখোঁজ ২৩৬, ধর্ষণে চেষ্টা করা হয় ২২৪টি শিশুর উপর, গণ সমকামিতার শিকার ১১২, গণ ধর্ষণের শিকার ৯২ এবং ৫৩টি শিশু বাল্যবিবাহের শিকার হয়েছে।
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ৬-১০ বছর এবং ১১-১৫ বছরের শিশুরা সবচেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার হয়েছে। প্রাদেশিক পরিসংখ্যানগুলোতে দেখা যাচ্ছে, ৬৫ শতাংশ মামলা পাঞ্জাবের, ২৫ শতাংশ সিন্ধু হতে, ৩ শতাংশ ইসলামাবাদ, ৩ শতাংশ কে-পি, ২ শতাংশ বালুচিস্তান, ২১টি মামলা কাশ্মীর এবং ২টি গিলগিট-বালটিস্তানের।
সব মিলিয়ে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ৭৪ শতাংশ নির্যাতনের ঘটনা গ্রামাঞ্চলে এবং বাকি ২৬ শতাংশ ঘটেছে শহুরে অঞ্চলে। প্রতিবেদনটি আরও বলছে, ৮৯ শতাংশ মামলা পুলিশের কাছে নিবন্ধিত হয়েছে, ৩২ শতাংশ অভিযোগ পুলিশ নিবন্ধন করেতে প্রত্যাখ্যান করেছে। ইয়ন
আপনার মতামত লিখুন :