শিরোনাম
◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে ◈ সেনা গোয়েন্দাসংস্থার বিরুদ্ধে ৬ পাক বিচারপতির ভয় দেখানোর অভিযোগ

প্রকাশিত : ০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৩:০৬ রাত
আপডেট : ০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৩:০৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এনজিওতে ঊর্ধ্বমুখি বিদেশি তহবিল

আদম মালেক : বাংলাদেশের মাথাপিছু আয়সহ বিভিন্ন সূচকে অগ্রগতি সত্ত্বেও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) জন্য বৈদেশিক সাহায্যের পরিমাণ কমেনি। এখনও আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলো বাংলাদেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে চায়। তাই ক্রমেই বিদেশি অর্থায়ন বাড়ছে বলে এনজিও ব্যুরো সূত্রে জানা যায়।

এনজিও ব্যুরো সূত্র জানায়, ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠাকালের তুলনায় গেল অর্থবছর এনজিওদের জন্য বিদেশি অর্থের পরিমাণ ৩০৫.৬৫ গুণ বেড়েছে। গত ১০ বছরে এ সাহায্যের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। চলতি অর্থ বছরের প্রথম মাসে তহবিল এসেছে ৫৪৯ কোটি ১০ লাখ ৯০ হাজার ৫১৯ কোটি টাকা। অর্থ প্রাপ্তির এই গতি অব্যাহত থাকলে বছর শেষে তা গত বারের পরিমাণকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। এনজিও ব্যুরো প্রতিষ্ঠার প্রথম ১৫ বছরের মধ্যে ১০ বছর সাহায্যের পরিমাণ বাড়তে থাকে। পাশাপাশি ৫ টি রাজস্ব বছরে সাহায্যের পরিমাণ কমে। ১৯৯০ সালে এনজিও ব্যুরো প্রতিষ্ঠাকালে বৈদেশিক সাহায্য পাওয়া যায় ৫৪ লাখ ২৯ হাজার ২৪২ কোটি টাকা। গেল ২০১৭-১৮ অর্থবছরে প্রাপ্ত তহবিল ৬৬১৬ কোটি ১২ লাখ ৬৫ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা।

এনজিও ব্যুরো তথ্যে দেখা যায়,২০১০-১১ অর্থবছরে সাহায্য এসেছে ৪ হাজার ৬১২ কোটি টাকা। পরবর্তীতে যথাক্রমে ২০১১-১২ অর্থবছরে ৪ হাজার ৩৪৭ কোটি,২০১২-১৩ অর্থবছরে ৫ হাজার ৮১ কোটি,২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৫ হাজার ৫৩৬ কোটি,২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৫ হাজার ৭৭৩ কোটি, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৪ হাজার ৯৩২ কোটি, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৫ হাজার ৫০৫ কোটি টাকা বৈদেশিক সাহায্য আসে।

উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রথম ধাপ অতিক্রান্ত হওয়ার পর বাংলাদেশে বৈদেশিক সাহায্য কমে গেছে বলে অনেক এনজিওর অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু অতীতের অর্থ প্রাপ্তির তথ্য বিশ্লেষণে এই অভিযোগের সত্যতা মেলে না। জানা গেছে, যে সব এনজিওর কাজের ক্ষেত্র বড়, যারা দীর্ঘদিন যাবৎ সুনামের সহিত বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে সে সব এনজিওতে বিদেশী তহবিল বেশী আসছে। ছোট অদক্ষ নামসর্বস্ব এনজিওদের প্রতি বিদেশীদের আগ্রহ তেমন নেই। এসব এনজিওতে বিদেশি তহবিল কমে গেছে।

নারী উন্নয়ন শক্তির নির্বাহি পরিচালক আফরোজা পারভিন বলেন, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতির পর বিদেশি তহবিল কমে গেছে। কিন্তু এনজিও ব্যুরো প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী ক্রমবর্ধমান তহবিলের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি জানান, আমরা ফান্ড পাই না। চরম অর্থকষ্টে আছি। বড় এনজিওরা সব নিয়ে যাচ্ছে।

এনজিও ব্যুরোর মহাপরিচালক কে এম আবদুস সালাম বলেন, বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি সন্তোষজনক। দেশ এগিয়ে যাওয়া সত্ত্বে বিদেশিরা বাংলাদেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে চায়। তাই বৈদেশিক সাহায্য বাড়ছে। বিগত সময়ের অর্থ প্রবাহের তথ্য এই ইতিবাচক সংকেত দেয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়