ফরহাদ আমিন, টেকনাফ (কক্সবাজার) : কক্সবাজারের টেকনাফে লেদা রোহিঙ্গা শিবিরে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করেছে মোঃ ইয়াছের (২২) নামে এক রোহিঙ্গাকে। নিহত রোহিঙ্গা যুবক, হ্নীলা লেদা রোহিঙ্গা শিবিরের এফ ব্লকের ১৫৬ নং কক্ষের মোঃ ইসলামের ছেলে। তবে ইয়াবা আটকের জের ধরে ক্যাম্প পাহাড়াদার ইয়াছেরকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারনা করেছেন টেকনাফ লেদা রোহিঙ্গা শিবিরের চেয়ারম্যান আব্দুল মতলব।
তিনি আরও জানান, স্থানীয় সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে গুলি করে ক্যাম্পের এক প্রহরীকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এই ক্যাম্পের প্রহরী ছিল। তবে রোহিঙ্গা শিবিরে প্রহরীর কারনে ইয়াবা ব্যবাসায় ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। এ কারণেই ইয়াবা ব্যবাসায়ীরা তাকে গুলি করে হত্যা করেছে বলে এমনটি ধারণা করা হচ্ছে।
শুক্রবার (৩১ আগস্ট) দুপুর পৌনে ৩টার দিকে লেদা রোহিঙ্গা শিবিরের এফ ব্লকের আব্দুল করিমের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে। সেই গত ২০১৬ সালে মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে এসে লেদা ক্যা¤েপ আশ্রয় নেয়।
রোহিঙ্গারা জানান, গত এক সপ্তাহ আগে ক্যাম্পের প্রহরীরা ইয়াবার একটি চালান স্থানীয় প্রশাসনকে ধরিয়ে দেয়। এই ঘটনার সূত্র ধরে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা তাকে দিন দুপুরে গুলি করেছে।
লেদা রোহিঙ্গা শিবিরের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রোহিঙ্গরা জানান, হ্নীলা ইউনিয়নের উত্তর আলীখালী এলাকার সন্ত্রাসী রেদওয়ান ও ভাই সৈয়দ আলমের নেতৃত্বে ৪/৫ জন সন্ত্রাসী লেদা শিবিরের এফ ব্লকের আব্দুল করিমের দোকানের সামনে রোহিঙ্গা ইয়াছেরকে গুলি করা হয়। এ সময় তাকে রক্তাক্ত গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে লেদা (আইওএমও) স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রঞ্জিত কুমার বড়–য়া জানান, ইয়াবার ঘটনাকে কেন্দ্র করে একজন রোহিঙ্গা প্রহরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে সুরুতহাল তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। এ হত্যায় জড়িতদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এই ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :