নিজস্ব প্রতিবেদক: নির্বাচনের কয়েক মাস আগে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম ব্যবহারের যে তোড়জোড় নির্বাচন কমিশন শুরু করেছে এটাকে ভালো চোখে দেখছে না রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। দলটি মনে করছে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করতেই এই ইস্যু সামনে আনা হয়েছে। ইভিএম কোনোভাবেই বিএনপির কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের আপত্তি রয়েছে জেনেও নির্বাচনের ঠিক আগে ইভিএম ব্যবহারের কথা তোলার পেছনে কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে। কোনোভাবেই বিএনপির কাছে ইভিএম গ্রহণযোগ্য হবে না। কারণ সিস্টেমটাই ত্রুটিপূর্ণ। এই পদ্ধতি দিয়ে কখনও নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না। তারা (নির্বাচন কমিশন) পুরোপুরি সরকারের তল্পিবাহক হয়ে গেছে। সরকার যা চাইছে তাই তারা করছে।’
নির্বাচন কমিশনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহারকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ উদ্যোগ উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আজকে আরপিও সংশোধনের কথা বলা হচ্ছে। এই সংশোধন কিছু পদ্ধতি চুরি করার পদ্ধতি, আরেকটি হচ্ছে ইভিএম, যার মাধ্যমে একশ আসনে একসাথে চুরি করার পদ্ধতি বা কৌশল। নির্বাচন কমিশনের এই উদ্যোগে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আমরা মনে করি।
ইভিএমে ভোট চুরির ‘অফুরন্ত’ সুযোগ রয়েছে মন্তব্য করেছেন বিএনপির আরেক কেন্দ্রীয় নেতা ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী। তিনি বলেন, ইভিএমে সফটওয়ার পরিবর্তন বা বন্ধ করে নির্বাচনে অস্থিতিশীলতা ও শূন্যতা সৃষ্টি করা সম্ভব। এই যন্ত্রের ভোট জালিয়াতি ও ভোট চুরির অফুরন্ত সুযোগ থাকবে বলেই অবৈধ সরকার নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে জাতীয় নির্বাচনের আগে ইভিএম ব্যবহারে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছে। ভোটাররা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বলে এখন ডিজিটাল মেশিনে কারচুপির ওপর নির্ভর করতে চায় শাসকগোষ্ঠি।
ড. রফিক হিলালী মনে করেন ইভিএম নিয়ে নির্বাচন কমিশনের তোড়জোড় দূরভিসন্ধিমূলক ও হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তারা জাতীয় নির্বাচনে বিতর্কিত ইভিএম ব্যবহারের চিন্তা করছে, যা জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে।
আপনার মতামত লিখুন :