শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ৩১ আগস্ট, ২০১৮, ০৮:২৮ সকাল
আপডেট : ৩১ আগস্ট, ২০১৮, ০৮:২৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

খুনিদের ধরো, বিচার করো, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাও

ডেস্ক রিপোর্ট : সাংবাদিকরা দেশ-বিদেশের সব মানুষের আনন্দ-বেদনার খবর লিখেন, কিন্তু সাংবাদিকদের খবর কেউ নেন না। তারা খবর লিখেই যান, কিন্তু কখনো খবর হন না। আর যখন হন তখন ৯০ ভাগ ক্ষেত্রেই সেটা হয় মর্মান্তিক। এই যেমন পাবনা শহরের নারী সাংবাদিক সুবর্ণা নদী। মঙ্গলবার রাত পৌনে ১১টার দিকে তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

কে তিনি? এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্যে জানা যায়, তিনি ছিলেন ওয়েবপোর্টাল জাগ্রত বাংলার সম্পাদক ও প্রকাশক, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আনন্দ টিভি, টাইমস টিভি ও দৈনিক অন্য দিগন্তের পাবনা প্রতিনিধি, নির্ভিক সংবাদের ব্যুরো চীফ এবং পাবনা উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান।

বোঝাই যায়, ছোট শহরে হলেও বেশ করিৎকর্মা ছিলেন তিনি। একাধিক মিডিয়ার প্রতিনিধিত্ব করছিলেন নিজ শহরে। তার এ সাফল্যই কি কাউকে ঈর্ষাকাতর করেছিল? নাকি পেশাগত দায়িত্ব পালনের সুবাদে কোনো মহলের কায়েমী স্বার্থে আঘাত করেছিলেন তিনি? যা-ই হোক না কেন, তার জবাবে হত্যাকে কোনোভাবেই মানা যায় না। এ কাজ কাপুরুষের। ওই কাপুরুষের দলের মুখে থুতু দেই।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক সূত্রে জানা যায়, পাবনার এক ব্যবসায়ীর ছেলের সঙ্গে সুবর্ণার বিয়ে হয়েছিল। সম্প্রতি তাদের বিচ্ছেদ হয়। এ নিয়ে আদালতে একটি মামলাও চলছে। সুবর্ণার ৯ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। তিনি অল্প কিছুদিন আগে ঢাকা ও পাবনায় সাবেক স্বামী ও শ্বশুরের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে নিজের নিরাপত্তা চেয়েছিলেন। হায়, আমাদের সমাজ তার আকুতি শোনেনি, পারেনি তাকে কাঙ্ক্ষিত নিরাপত্তা দিতে। তার ফল যা হবার তা-ই হলো।

আমাদের শত কান্না, হাজারো প্রতিবাদও এ দুঃখিনী মেয়েটিকে ফিরিয়ে এনে দিতে পারবে না। কিন্তু তাই বলে আমরা চুপ করে বসে থাকবো না। আমরা গগনবিদারী চিৎকার করে বলবো, ''খুনীদের ধরো, বিচার করো, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাও।'' আমরা কাপুরুষ ঘাতকদলের উদ্দেশে অহরহ উচ্চারণ করবো অভিশাপ - তোরা জাহান্নামের আগুনে পুড়তে থাক অনন্তকাল।সূত্র : বিবার্তা২৪

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়