শিরোনাম
◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত : ৩১ আগস্ট, ২০১৮, ০৭:৩৭ সকাল
আপডেট : ৩১ আগস্ট, ২০১৮, ০৭:৩৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এবার সিএনএন প্রধানকে বরখাস্তের দাবি ট্রাম্পের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : একের পর এক টুইট করেই যাচ্ছেন আর বিতর্কে জড়াচ্ছেন ট্রাম্প। এবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর প্রেসিডেন্ট জেফ জুকারকে বরখাস্তের দাবি জানিয়েছেন ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার সকালে এক টুইটবার্তায় সংবাদ প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট জেফ জুকারের ওপর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে তাঁকে বরখাস্তের দাবি জানান তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটির বিরুদ্ধে বরাবরই ক্ষুব্ধ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘আমার প্রতি ঘৃণা ও চরম পক্ষপাতের কারণে সিএনএন ঠিকমত কাজই করতে পারছে না। সামান্য এক জেফ জুকার ভয়ঙ্কর কাজ করে ফেলেছে। তার রেটিংয়ের অবস্থাও বাজে। টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠানটির উচিত বিশ্বাসযোগ্যতা ধরে রাখতে তাকে বরখাস্ত করা।’ খবর বিবিসির।

বিবিসির খবরে বলা হয়, সম্প্রতি হার্ট সার্জারির কারণে সিএনএন থেকে ছয় সপ্তাহের ছুটিতে আছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান জেফ জুকার। আর এমন সময়েই তাকে নিয়ে টুইটারে তীর্যক পোস্ট করলেন ট্রাম্প।

এদিকে ট্রাম্পের এই দাবি অবশ্য প্রত্যাখ্যান করেছে সিএনএন। টুইটারে দেয়া এক পোস্টে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সিএনএনের প্রেসিডেন্ট কোনও ভুল করেননি। এই সংবাদমাধ্যম মিথ্যাচার করে না; বরং খবর প্রচার করে। ক্ষমতাবানদের মিথ্যাচার নিয়ে খবর প্রচার করে।

সিএনএন-এর বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, চলতি আগস্ট মাসে টিভি চ্যানেলটির দর্শক সংখ্যা ৭ লাখ সাত হাজার। এ মাসে এটি তাদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেটিং।

২০১৭ সালের নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর ১১ জানুয়ারি নিউ ইয়র্কে নিজ কার্যালয়ে প্রথম সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আর এতেই সিএনএন-এর প্রতিবেদকের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে জড়িয়ে পড়েন এই ব্যবসায়ী কাম রাজনীতিক। এমনকি সংবাদমাধ্যমটি ‘ভুয়া খবর’ প্রকাশ করে দাবি করে তাদের প্রতিনিধিকে কোনও প্রশ্ন করারও সুযোগ দেননি ট্রাম্প। অবশ্য মূল ধারার সংবাদমাধ্যমগুলোকে ফেক নিউজ আখ্যা দেয়া ট্রাম্প সিএনএনের ব্যাপারে বরাবরই ক্ষুব্ধ।

এর আগে সিএনএন-এর খবরে রাশিয়ার সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্কের বিষয়টি উঠে আসায় সংবাদমাধ্যমটির প্রতি এমনিতেই ক্ষুব্ধ ছিলেন ট্রাম্প। এই ক্ষোভেরই হয়তো বিস্ফোরণ ঘটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ট্রাম্পের প্রথম সংবাদ সম্মেলনে। আর পুরো নির্বাচনি প্রচারণায় ফক্স নিউজ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের মূল ধারার প্রায় সব সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধেই কমবেশি অভিযোগের তীর ছুঁড়েছেন ট্রাম্প।

আর এরই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ সংযোজন বৃহস্পতিবার সিএনএন প্রধানের পদত্যাগ চেয়ে ট্রাম্পের টুইট। সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়