যশোর প্রতিনিধি : যশোরে সরকারি সিটি কলেজ থেকে পলিথিন মোড়ানো এক তরুণীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ২৯ আগস্ট বুধবার রাতে কলেজের মসজিদের পাশে হাত-পা বাঁধা পলিথিনে মোড়ানো ওই (আনুমানিক ২৫ বছর) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। দুপুর পর্যন্ত হতভাগ্য ওই তরুণীর পরিচয় শনাক্ত হয়নি। এই নিয়ে যশোরে ৭টি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটলো।
স্থানীয়রা জানান, রাতে তারা বিকট গন্ধ পেয়ে সিটি কলেজ মসজিদের কাছে ডোবার পাশে আসেন। সেখানে একটি ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখে তাদের সন্দেহ বাড়ে। এরপর স্থানীয় শান্তি শৃঙ্খলা কমিটির সদস্যরাও আসেন সেখানে। তারা এসে নিশ্চিত হন, পলিথিনে মোড়ানো রয়েছে মানুষের মরদেহ।
যশোর কোতয়ালী থানার ওসি অপূর্ব হাসান জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে পলিথিনবন্দি মানুষের মরদেহ দেখতে পায় পুলিশ। ওই তরুণীকে খুন করে হাত-পা বেঁধে পলিথিনবন্দি করা হয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, কয়েকদিন আগে অন্য কোথাও হত্যা করে হতভাগ্য তরুণীকে কলেজ ক্যাম্পাসে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা। সেই কারণে মরদেহ থেকে দুর্গন্ধ ছুটছে। তবে কী কারণে এই হত্যাকা-, আর এর সঙ্গে কারা জড়িত, তা পুলিশ এখনো জানতে পারেনি। একই দিন রাতে সদর উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের একটি বাগান থেকে শরিফুল ইসলাম নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। একই দিন সকালে শহরের লোন অফিস পাড়া থেকে কোতয়ালি পুলিশ সানজিদা সুহানা (১৬) নামে এক কলেজ ছাত্রীর চুরিকাহত লাশ উদ্ধার করে। এর আগে ২৬ আগস্ট শহরের শংকরপুর এলাকা থেকে বিএনপি কর্মী মশিয়ারের (৪০) লাশ উদ্ধার করা হয়। মশিয়ারকে ওই এলাকার এক জনপ্রতিনিধির ছেলের নেতৃত্বে ছুরি মেরে ও গুলি করে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়। এর আগে ২৪ আগস্ট শহরতলীর বাহাদুরপুর রজনীগন্ধা তেলপাম্পের পাশের একটি বাড়ি থেকে কল্পনা (৩৫) নামে এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করা হয়। পরকীয়া প্রেমের জের ধরে তাকে শ্বাসরোধ ও আঘাত করে হত্যা করা হয়। এর আগে ১১ আগস্ট সদর উপজেলার নুরপুর গ্রাম থেকে একতা ক্লিনিকের কর্মচারি দায়নুল (৩০) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া শহরতলীর খয়েরতলা রেল বস্তি থেকে সজিব নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। এসব হত্যাকান্ডের দুএকটি বাদে কোনটিরই প্রকৃত কারণ পুলিশ উদঘাটন করতে পারেনি। এমনকি এসব হত্যাকান্ডের আসামিরাও থেকে যাচ্ছে ধরা ছোয়ার বাইরে। যে কারনে যশোর শহর ও শহরতলীতে একের পর এক হত্যাকান্ডের ঘটনা বেড়েই চলেছে।
আপনার মতামত লিখুন :