আশিক রহমান: এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ বলেছেন, ব্যাংকিং খাত একধরনের জটিলতার ভেতর ছিল বা আছে। কিন্তু তা থেকে উত্তরণের যে চেষ্টা, যেসব পদক্ষেপ সেগুলোর গঠনমূলক কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, নন-পারফরমিং লোন বা ঋণ খেলাপির পরিমাণ ক্রমশ বাড়ছে। সেটা বাড়বেই। যেহেতু লোন নেওয়া হয়ে গেছে, শোধও করা হচ্ছে না। এসব লাঘাম ধরে টানা, বড় ঋণ খেলাপি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানগুলোকে একটা সিস্টেমের ভিতরে নিয়ে আসার জন্য যেসব পদক্ষেপ প্রয়োজন, দেখা যায় সেসব ঠিকমতো হচ্ছে না বা দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, ব্যাংক ঋণ ও আমানতের সুদহারের বিষয়ে বাস্তবভিত্তিক সিদ্ধান্ত না হলে তা বাস্তবায়ন হবে না। উপরে উপরে হয়তো বলবে, ঠিক আছে, আমরা ঋণ সুদহার ৯ শতাংশ করলাম, কিন্তু ভেতরে ভেতরে এই সুদ, ওই রেট, এই সার্ভিস-ওই সার্ভিস চার্জ, এটা-ওটা দিয়ে বারো-তেরো শতাংশে সুদহার চলে যাবে। কারণ ব্যাংক তার স্প্রেড না রেখে ব্যাংক পরিচালনা লাভজনক পজিশনে না দেখলে ঋণ দিবে না। উপর থেকে যদি আমি ঋণের হার নির্ধারণ করে দিলাম, কিন্তু ব্যাংকগুলো নানা পদ্ধতি-প্রক্রিয়া করে, সার্ভিস চার্জ-টার্জ বলে কস্টলি করে ফেলবে।
এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ বলেন, আমানতের সুদহার নিয়েও একটা জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে যাচ্ছে। কদিন আগেও যারা ১২ শতাংশ সুদে আমানত রেখেছিল, সেভাবেই প্রতিষ্ঠান চুক্তি করে নেওয়া হয়েছে। মেয়াদ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই ১২ শতাংশই রাখতে হবে। এই মুহূর্তে যে আমানত ম্যাচিউরড হয়ে যাচ্ছে তা দিতে গিয়ে যদি বলা হয় আপনাকে ৬ শতাংশ সুদ দিব তখন তো ওই প্রতিষ্ঠান বা আমানতকারী উভয়ের সমস্যা হয়ে যাবে।
আপনার মতামত লিখুন :