শিরোনাম
◈ ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা বিলে জো বাইডেনের সাক্ষর  ◈ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর ◈ বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে ইথানল নিতে পারে, যা তেলের চেয়ে অনেক সস্তা: রাষ্ট্রদূত ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের  ◈ লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে, চাপ পড়ছে গ্রামে ◈ বাংলাদেশে কাতারের বিনিয়োগ সম্প্রসারণের বিপুল সম্ভাবনা দেখছেন ব্যবসায়ীরা  ◈ হিট স্ট্রোকে রাজধানীতে রিকশা চালকের মৃত্যু

প্রকাশিত : ৩০ আগস্ট, ২০১৮, ০৮:১৪ সকাল
আপডেট : ৩০ আগস্ট, ২০১৮, ০৮:১৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বন্ধ হয়নি ইয়াবা গেট

ডেস্ক রিপোর্ট : বন্ধ হয়নি টেকনাফের ইয়াবা গেট। মিয়ানমার থেকে ভয়ঙ্কর মাদক ইয়াবা এ পথে আসছেই। প্রায় প্রতিদিনই ইয়াবার চালান উদ্ধার করছে সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বরত বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। একইসঙ্গে ইয়াবাসহ আটক হচ্ছে বহনকারীরা। তবে এর বেশির ভাগই মিয়ানমার নাগরিক রোহিঙ্গা। কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া সীমান্তের নাফ নদ ও সাগরপথে এসব ইয়াবা অনুপ্রবেশ করছে। গত জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ২ কোটি পিসের বেশি ইয়াবা জব্দ করেছেন বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ ও কোস্টগার্ড সদস্যরা। গেল বছরের ২৫ আগস্ট থেকে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কারণে ইয়াবার ভয়াবহতা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রায় অরক্ষিত সীমান্ত দিয়ে রাতের বেলায় ইয়াবার চালান নিয়ে আসছে রোহিঙ্গারা। কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া ৩০টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইয়াবাসহ মাদক বিক্রির ৫ শতাধিক আখড়া রয়েছে। ইয়াবা ব্যবসায়ীর তালিকায় আছে ১৩ নেতৃস্থানীয় রোহিঙ্গা। গত এক বছরে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ পিস ইয়াবাসহ ১১১ জন রোহিঙ্গা আটক হয়েছে। এ-সংক্রান্ত ৭৯টি মামলা দায়ের হয়েছে। ইয়াবার উৎসভূমি মূলত মিয়ানমার। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ৩২টির অধিক কারখানায় তৈরি হচ্ছে ভয়ঙ্কর মাদক ইয়াবা। এর মধ্যে ‘ইউনাইটেড ওয়া স্টেইট আর্মি’ নামে আন্তর্জাতিক মাদক পাচারকারী সংগঠনের চারটি কারখানা রয়েছে। আর অন্যগুলোর মালিক মিয়ানমারের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। ওই কারখানাগুলোয় তৈরি করা ইয়াবা মিয়ানমারভিত্তিক ১০ জন ডিলার বাংলাদেশের এজেন্টদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে নাফ নদ ও সাগরপথে। আর বাংলাদেশে ইয়াবা পাচারের প্রধান রুট হচ্ছে কক্সবাজার। বিশেষ করে কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়া থেকে সড়ক, নদী ও আকাশপথে দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দিচ্ছে বহনকারীরা। ইয়াবা কারবারিতে জড়িত রয়েছে কক্সবাজারের ৬০ জন গডফাদারসহ ১ হাজার ১৫১ জন। গডফাদারের তালিকায় অনেক জনপ্রতিনিধি ও প্রভাবশালী রয়েছেন। তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই বন্ধ করা যাবে ভয়ঙ্কর মাদক ইয়াবা আসা। সম্প্রতি সারা দেশে মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান শুরুর পর ইয়াবা গডফাদার ও ব্যবসায়ীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন ইয়াবা ব্যবসায়ীকে ক্রসফায়ার দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে কমে আসে ইয়াবার অনুপ্রবেশ। তবে সম্প্রতি আবারও ইয়াবা আসা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই ইয়াবার চালান উদ্ধার হচ্ছে। আটক হচ্ছে বহনকারীরা। বিজিবির টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. আছাদুদ-জামান চৌধুরী জানান, সীমান্তে ইয়াবাসহ চোরাচালান রোধে রাতদিন টহল দিয়ে যাচ্ছেন বিজিবি সদস্যরা। এতে ইয়াবার চালান উদ্ধারের পাশাপাশি বহনকারীদের আটক করা হচ্ছে। ইয়াবা কারবারিতে দুই দেশের প্রভাবশালীরা রয়েছেন। ইয়াবা আসা বন্ধ করতে হলে প্রয়োজন মিয়ানমারের আন্তরিকতা। তা না হলে ইয়াবা চোরাচালান বন্ধ করা খুবই কঠিন হবে। তবে সীমান্ত দিয়ে ইয়াবা আনছে রোহিঙ্গারা। কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ড. এ কে এম ইকবাল হোসেন জানান, মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গডফাদারসহ ইয়াবা কারবারিদের বাড়িতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকায় সবাই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। তবে এখনো ইয়াবার চালান ধরা পড়ছে।
সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়