শিরোনাম
◈ প্রাথমিক স্কুলে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার নির্দেশ ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ২৭ বস্তা টাকা, গণনা চলছে ◈ সাতক্ষীরায় এমপি দোলনের গাড়িতে হামলা ◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা

প্রকাশিত : ৩০ আগস্ট, ২০১৮, ০৮:০২ সকাল
আপডেট : ৩০ আগস্ট, ২০১৮, ০৮:০২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘বাপের জনমেও আর আমু না’

ডেস্ক রিপোর্ট : ‘স্যার, আমার ছেলে আছে, মেয়ে আছে, স্ত্রী আছে। আমারে ছাইড়া দেন। আমার বাপের জনমেও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আর আমু না। আমাকে শাস্তি দিয়েন না। আমি এসব খাওয়া ছেড়ে দিবো। আর কোনোদিন এসব খামু না।’

বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে র‌্যাবের হাতে আটক হওয়া ১০৩ জনের মধ্যে পঞ্চাশোর্ধ এক ব্যক্তি র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের কাছে এভাবেই মিনতি করছিলেন।

পরে সাংবাদিকদের র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, গত তিন দিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে র‌্যাব-৩-এর বেশ কয়েকটি দল গোয়েন্দা নজরদারি করেছে। আজ এক অভিযানে দুই নারীসহ ১০৩ জন মাদকসেবী ও সরবরাহকারীকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ১০৩ জনের মধ্যে দুই নারীসহ ১৪ জন মাদক সরবরাহকারী। আর বাকিরা সবাই মাদকসেবী। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মাদক সেবনের জন্য কিছুটা নিরাপদ মনে করে তারা এখানে প্রায়ই আসে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এটি একটি ঐতিহাসিক স্থান। এখানে কাউকে মাদক সেবন করতে দেওয়া হবে না।

তিনি বলেন, আগেও এ ধরনের অনেক ঘটনা ঘটেছে। মাদকসেবীদের হাতে নারীদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়েছে। ল্যাপটপ ছিনতাইয়ের ঘটনা কিংবা আটকে রেখে এটিএম বুথে নিয়ে গিয়ে টাকা তোলার মতো ঘটনাও ঘটেছে। অনেক ধরনের ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে থাকে এখানে। পাশেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মাদকের অভয়ারণ্য হলে শিক্ষার্থীদেরও এতে জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এখানে আগামীতেও নিয়মিত অভিযান চালানো হবে।

র‌্যাবের হাতে আটক দুই নারীর মধ্যে একজন পারুল। গত পরশু (২৭ আগস্ট) তিনি মাদকের একটি মামলায় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন জানিয়ে সারওয়ার আলম আরও বলেন, ‘বের হয়েই তিনি আবারও মাদক সরবরাহের কাজ শুরু করেছেন। আর মাদকসেবীদের কেউ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, কেউ ব্যবসায়ী, কেউ কলেজশিক্ষার্থী, আবার কেউ কেউ পেশাজীবীও রয়েছেন।’

অভিযানে আটক ১০৩ জনের প্রত্যেকেরই বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এর মধ্যে কারও দুই মাস, কারও ছয় মাস, কারও একবছর, কারও কারও দুই বছর মেয়াদেও কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে সারওয়ার আলম বলেন, ‘কে কোন পেশার, তা আইন দেখবে না। সবাই জানে, গত মে মাস থেকে র‌্যাব মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। এই যুদ্ধে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না— এটিই শেষ কথা।’-সারাবাংলা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়