শিরোনাম
◈ ফরিদপুরে বাস-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১২  ◈ ইরানের হামলার জবাব দেবে ইসরায়েল: সেনাপ্রধান ◈ সৌদিতে কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা ◈ শ্রম আইন লঙ্ঘনের সাজাপ্রাপ্ত মামলায় স্থায়ী জামিন চাইবেন ড. ইউনূস ◈ ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরছে কর্মজীবী মানুষ ◈ স্বাস্থ্যখাতে নতুন অশনি সংকেত অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স: স্বাস্থ্যমন্ত্রী  ◈ কৃষি খাতে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে তিন  বছরে সাড়ে ৩৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ ◈ বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.১ শতাংশ: এডিবি ◈ বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে বিজিপির ১৪ সদস্য ◈ ৬০ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলার তালিকা প্রকাশ করুন: মির্জা ফখরুলকে ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত : ৩০ আগস্ট, ২০১৮, ০৭:৪৮ সকাল
আপডেট : ৩০ আগস্ট, ২০১৮, ০৭:৪৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মানহীন ছবিতে ডুবল ঈদের বাজার

ডেস্ক রিপোর্ট : বছরব্যাপী সিনেমা হলে দর্শকখরা থাকলেও দুই ঈদে তা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেন সংশ্লিষ্টরা। ঈদে তাই মানসম্পন্ন বড় বাজেটের ভালো গল্পের ছবি নিয়ে আসেন প্রযোজক-পরিচালক। কিন্তু এবার কোরবানির ঈদে মুক্তি পাওয়া ছবিগুলো দর্শক টানতে পারেনি বলে হতাশ সিনেমাপাড়ার মানুষ। অন্যদিকে ছবির মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেক দর্শক। লিখেছেনÑ ফয়সাল আহমেদ
কোরবানির ঈদে ‘ক্যাপ্টেন খান’, ‘মনে রেখো’ ও ‘জান্নাত’Ñ এ তিনটি ছবি মুক্তি পায়। দুটি ছবির পরিচালক ওয়াজেদ আলী সুমন ও ‘জান্নাত’ পরিচালনা করেছেন মোস্তাফিজুর রহমান মানিক। এর মধ্যে মুক্তির আগেই আলোচনায় ছিল শাকিব খান অভিনীত ‘ক্যাপ্টেন খান’ ছবিটি। এতে শাকিবের বিপরীতে ছিলেন শবনম বুবলী। গত দুই তিন ঈদ ধরে এ জুটি আস্থা অর্জন করেছেন দর্শকের। তাই ঈদের প্রথম তিন দিন ছবিটি মুক্তি পেয়েছে এমন হলগুলোতে ছিল দর্শকের ভিড়। কিন্তু ছুটি শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দর্শকখরায় ভুগতে থাকে ছবিটি। কারণ হিসেবে দর্শক বলছেন, ছবিটি ‘নকল’ গল্পের।

এ সময়ে এসে ‘নকল’ করা গল্পের প্রতি আগ্রহ হারিয়েছেন সাধারণ মানুষ। কারণ বিশ্বের যে প্রান্তেই এখন ছবি মুক্তি পায়, সেটা দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে অন্তর্জালে চলে আসে। ফলে প্রতিটি ছবিই কোনো না কোনো দর্শক দেখে থাকেন। আর ভালো গল্পের ছবিগুলো দেখেন সবাই। সব সময় ভালো গল্পের ছবিগুলোই অন্যরা নকল করে থাকেন। তবে নির্মাণ ভালো হলে নকল গল্পের ছবিই অনেক সময় সুপারহিট হয়, যার প্রমাণ অহরহ। কিন্তু ‘ক্যাপ্টেন খান’-এর নির্মাণে এমন কিছু দর্শক পায়নি যা তাদের হলে নিয়ে যাবে।
২০১৪ সালের আগস্টে তামিল ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি দেখেছিল সুরিয়া অভিনীত চলচ্চিত্র ‘আনজান’। ঠিক চার বছর পর এই আগস্টেই বাংলাদেশে মুক্তি পেল একই কাহিনির ‘ক্যাপ্টেন খান’। চিত্রায়ণ করতে গিয়ে পরিচালক সুমন কোনো প্রকার পরিবর্তন বা পরিমার্জন করেননি। মূল ছবির পরিচালক লিঙ্গুসামির মতো একই রাস্তায় হেঁটেছেন। তবে তিনি পারতেন কিছু পরিবর্তন করতে। কারণ মূল ছবির মধ্যে ছিল প্রচুর বিভ্রান্তি, দর্শক একবার যে ছবি দেখে বিভ্রান্ত হয় নিশ্চয় দ্বিতীয়বার সেই ছবি দেখতে গাঁটের পয়সা খরচ করবেন নাÑ এটা বোঝা উচিত ছিল ছবির নায়ক শাকিব খান, পরিচালক কিংবা প্রযোজকের।
‘জান্নাত’ মুক্তির দিন থেকেই ছবির পরিচালকের বেশ মন খারাপ ছিল। কারণ এটি ঢাকার একটি মাত্র হল পেয়েছিল। ঢাকার মালিবাগের পদ্মা সিনেমা হলে ছবিটি দেখতে তেমন দর্শক সমাগম দেখা যায়নি। একটি সিনেমা তখনই সুপারহিট হয় যখন দর্শক এর প্রচার চালায়। মুক্তির পর প্রতিটি ভালো ছবির গল্প থাকে দর্শকের মুখে মুখে। কিন্তু ঢাকায় তো নয়ই ঢাকার বাইরের দর্শকের মুখ থেকেও শোনা যায়নি ‘জান্নাত’ ছবির কোনো সংলাপ বা গানের কথা। তবে এর মধ্যে অনেকে মুগ্ধ হয়েছেন সাইমন-মাহির রসায়নে। শাকিব-বুবলীর ‘ক্যাপ্টেন খান’ ছবির থেকেও দর্শক মুগ্ধতায় ‘জান্নাত’ আছে এগিয়ে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার ঢাকার সিনেমাগুলোতে মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি।
মনে রাখার মতো কিছুই দর্শক পায়নি ‘মনে রেখো’ ছবির মধ্যে। ছবির গল্প দেখে কোনো যুক্তিই কাজে আসবে না। সংলাপগুলো কানে বাজেনি একজন দর্শকেরও। পরিচালক ওয়াজেদ আলী সুমন শাকিব খানের জন্য ‘ক্যাপ্টেন খান’-এ পার পেয়ে গেলেও ‘মনে রেখো’তে পা পিছলে পড়েছেন। কারণ অযৌক্তিক সব আয়োজনে ভরপুর ছবিটি। ছবির নায়িকা মাহিয়া মাহি যতটা আবেগ দিয়ে কাজ করেছেন ‘জান্নাত’ ছবিতে, তার অর্ধেকও দেখা মেলেনি বনি সেনগুপ্তের সঙ্গে ‘মনে রেখো’তে। শুধু বনি নয়, ছবির অন্য নায়ক জয়ীর সঙ্গেও রসায়ন জমেনি তার। অথচ অনেক দর্শকই ছবিটি দেখতে গিয়েছিলেন শুধু মাহির কারণে।
সূত্র : দৈনিক আমাদের সময়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়