জয় প্রকাশ সরকার : যারা আমাকে অনেকদিন ধরে চিনেন, তারা জানেন যে আমি একজন রন্ধনশিল্পী। তবে আমি চেনা পথের শিল্পী নই। নিজে সৃষ্টি করি রান্নার নতুন পথ। এটাও অনেকেই জানেন। একটু আগে আমি যে খাবার খেলাম সেটা আমার আবিষ্কার। নাম, ‘ফ্রায়েড চকোলেট রাইস উইথ কনফ্লিক্ট এন্ড পিস’।
আমি জেনারেলি একবেলা খেয়েই বেঁচে আছি। রাতে বেশীরভাগ সময় পানীয় পান করেই শুয়ে পড়ি। তবে আজ খুব ক্ষুধা লাগলো। তো কী করা? কিচেনে গিয়ে দেখি কিচ্ছু নেই। শুধু পোলাওয়ের চাল আছে। দিলাম চুলায় বসিয়ে। রান্না হতে থাকুক। সেই ফাঁকে একটা কিছু আবিষ্কার করে ফেলবো। ভাত বসিয়ে দিয়ে ভাবছি আর ভাবছি। কোথাও কিচ্ছু নেই। না কিচেনে না ফ্রিজে। সব ফাঁকা। তাহলে উপায়?
আমার মতো একজন রন্ধনশিল্পী এসবে থেমে যেতে পারে না। ফ্রিজের এক কোনায় দেখি চারটা মিল্কবার পড়ে আছে। চকলেট মিল্ক বার। ইউরেকা! এগুলো দিয়েই চালাবো আজ।
ওগুলো সাথে নিয়ে রান্না ঘরে গিয়ে দেখি ভাত পুড়ে গেছে। তাতে ঘাবড়াইনি। ভাত না পুড়িয়ে আমি রান্নাই করতে পারি না। এটাই আমার স্টাইল।
চুলা থেকে ভাত নামিয়ে চকলেট মিল্কবার চারটাই দিয়ে দিলাম গরম ভাতে। কিছু সময় পর সেগুলো গলে ভাতের সাথে মিশে গেলো। কিন্তু খেতে গিয়ে দেখি ভাতের পোড়া গন্ধ আর স্বাদ। পোলাওয়ের চালের গন্ধ আড়ালে পড়ে যাচ্ছে। কী করা যায়?
হঠাৎই মাথায় বুদ্ধি এলো। দিলাম অল্প লবন। তাতে পোড়া স্বাদ অনেকটাই কমলো কিন্তু কিঞ্চিৎ তেতো হয়ে গেলো। আবারো মাথা খাটালাম। দিয়ে দিলাম এক মুঠো চিনি। ব্যাস কাজ হয়ে গেলো। তৈরী হয়ে গেলো ‘ফ্রায়েড চকোলেট রাইস উইথ কনফ্লিক্ট এন্ড পিস’। ফেসবুক থেকে।
পরিচিতি: সাংবাদিক
আপনার মতামত লিখুন :