শিরোনাম
◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক

প্রকাশিত : ৩০ আগস্ট, ২০১৮, ০৬:০৫ সকাল
আপডেট : ৩০ আগস্ট, ২০১৮, ০৬:০৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইভিএম এর মতো বড়ো প্রকল্পকে অর্থনীতি সাপোর্ট করে না : ইকতেদার আহমেদ

ফাহিম আহমাদ বিজয় : বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে স¦চ্ছল দেশ নয়।  নির্বাচন সুষ্ঠু এবং পরিচ্ছন্ন করার লক্ষে যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তাদের সাথে সংলাপে আসা গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের কোন উদ্যোগ নেয়নি নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের আগ মূহুর্তে এসে নতুন করে ইভিএম নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। নির্বাচন কমিশন আগে যদিও বলেছিলো, যদি সব রাজনৈতিক দল না চায় তাহলে ইভিএম ব্যবহার করা হবে না।

আগামী নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের প্রস্তুতি বা কারিগরি সামর্থ্যও গড়ে উঠেনি এখন পর্যন্ত। সেখানে আরপিও সংশোধনীর প্রস্তাব পাঠানোর আগে কিভাবে ৩৮২৯ কোটি টাকার দেড় লাখ ইভিএম কেনার প্রকল্প হাতে নেয় নির্বাচন কমিশন? আমরা এখনো স্বল্প উন্নত দেশ। তাই আমাদের অর্থনীতিকে এটি সাপোর্ট করে না। এদেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দলগুলো ইভিএম ব্যবহার হোক তা চায় না। এদেশের মানুষের মাঝেও ইভিএম নিয়ে সংশয় রয়েছে যে, যেহেতু আমরা এটির সঠিক ব্যবহার জানি না সেক্ষেত্রে আমরা হয়তো সঠিক ফলাফল নাও পেতে পারি। যেহেতু অধিকাংশ জনমত ইভিএম এর বিপক্ষে তাই ইভিএম এর পক্ষে অবস্থান নেয়ার সুযোগ নেই। এটি যদি করা হয় তাহলে জনগণের অর্থের অপচয় হবে এবং জনস্বার্থের জন্য হানীকর হবে।

সম্প্রতি পাচঁটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কয়েকটি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হয়েছিলো। তাতেই কিন্তু নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের অনেক বেগ পেতে হয়েছিলো। সেখানে ৩০০ আসনে প্রায় ভোট কক্ষ আছে ২ লাখ ২০ হাজার। ৩০০ আসনে ইভিএম দরকার হবে ২ লাখ ৬৪ হাজার। ১৫০ আসনে হবে ১ লাখ ৩২ হাজার ইভিএম প্রয়োজন হবে। এগুলো সামাল দেয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন কতটা প্রস্তুত? জনগণের স্বার্থের পরিপন্থি, জনগণের স্বার্থের প্রতিকূলে, জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার নির্বাচন কমিশনের নেই। নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। আমরা মনে করি, নির্বাচন কমিশন এমন কোন সিদ্ধান্ত নিবে না যেটি জনস্বার্থের জন্য হানীকর এবং জনস্বার্থের প্রতিকূলে।

পরিচিতি : সাবেক জজ, সংবিধান, রাজনৈতিক বিশ্লেষক/ সম্পাদনা : মেহেদি হাসান

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়