আসিফুজ্জামান পৃথিল: মিয়ানমারের জেনারেলদের দ্বারা পরিচালিত সামরিক জান্তা এবং তাদের আঙুলি হেলনে পরিচালিত বেসামরিক সরকার এখন কিছুটা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ভয় পেতে শুরু করেছে। গত সোমবার জাতিসংঘের একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন যারা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের উপরে নির্যাতনের তদন্ত করছিলো তারা সেনাবাহিনীর জেষ্ঠ্য কর্মকর্তাদের গণহত্যা ও গণধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে।
ফ্যাপক্ট ফাইন্ডিং কমিটি এই গণহত্যার জন্য এই কর্মকর্তাদের বিচার দাবী করেছে। তবে এজন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে মামলাটি হেগের আন্তর্জাতিক আদালতে পাঠাতে হবে। অবস্থাদৃশ্যে ব্যাপারটিকে স্রেফ সময়ের ব্যাপার বলেই মনে হচ্ছে। ক্যানবেরয়ায় অবস্থিত অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কলেজ অফ এশিয়া প্যাসিফিকের সিনিয়র লেকচারার সিসিলিয়া জ্যাকবস সিএনএনকে বলেন, ‘জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ পক্ষাঘাতগ্রস্থ। বাস্তবতা হচ্ছে তারা ইয়েমেন বা সিরিয়ার ব্যাপারে কোন পদক্ষেপই নেয়নি। এই দেশগুলোর মতো মিয়ানমারও আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোকে গ্রাহ্যই করেনা।’
মিয়ানমার জাতিসংঘের তদন্তকে প্রত্যাখ্যান করেছে। গত বছর জাতিসংঘের হিউম্যান রাইটস কাউন্সিল এই মিশনটিকে মিয়ানমারে পাঠাবার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে মিয়ানমার তাদের দেশটিতে প্রবেশই করতে দেয়নি।
তবে মিয়ানমারের এই জেনারেলদের বিরুদ্ধে সারা বিশ্বেই সচেতনতা গড়ে উঠেছে। যদি নিরাপত্তা পরিষদের সকল সদস্য দেশই মানবিক ভাবে ভোট প্রদান করেন তবে অবশ্যই এই অপরাধী জেনারেলদের বিচারের আওআয় আনা সম্ভব। সিএনএন
আপনার মতামত লিখুন :