শিরোনাম
◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের ◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের

প্রকাশিত : ৩০ আগস্ট, ২০১৮, ০২:৪৯ রাত
আপডেট : ৩০ আগস্ট, ২০১৮, ০২:৪৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চীনকে মোকাবেলায় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে উপস্থিতি শক্তিশারী করবে পশ্চিমারা

নূর মাজিদ: চীনা প্রভাব মোকাবেলায় প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোয় নিজেদের উপস্থিতি আরো শক্তিশালী করবার উদ্যোগ নিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলি। এই পরিকল্পনার আওতায় যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া এবং যুক্তরাজ্য এই অঞ্ছলে এই কূটনীতিক মিশনগুলোর তৎপরতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একইসঙ্গে তারা চীনের সঙ্গে জলসীমা ও সামুদ্রিক সম্পদের মালিকানা নিয়ে বিরোধ রয়েছে এমন দ্বীপ রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে তাদের কৌশলগত সম্পর্ক জোরদার করবার উদ্যোগ নেবে। সংশ্লিষ্ট দেশগুলির দায়িত্বশীল সরকারি কর্মকর্তাদের সূত্রে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছে।

প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ক্ষুদ্র এবং কম জনবসতির দ্বীপ রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা এই কূটনীতিক তৎপরতায় অধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। বিশেষত যখন এই দ্বীপ রাষ্ট্রগুলির কাছে রয়েছে জাতিসংঘের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোয় ভোট দেবার অধিকার। এছাড়াও, এই দেশগুলি প্রশান্ত মহাসাগরে খনিজ সম্পদে পূর্ণ বিপুল জলসীমারও মালিক।

ইতোমধ্যেই, এই দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে পশ্চিমাদের পাল্লা দিচ্ছে চীন। ২০১১ সাল থেকে চীন এমন ক্ষুদ্র রাষ্ট্রগুলিকে ১৩০ কোটি ডলারের ঋণ ও অন্যান্য অনুদান দিয়েছে। যা এই অঞ্চলে সর্ববৃহৎ দাতা রাষ্ট্র অস্ট্রেলিয়ার পরেই চীনকে দ্বিতীয় বৃহৎ দাতা রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। পশ্চিমাদের শঙ্কা চীনা ঋণ সাহায্য নিয়ে এই দেশগুলি অধিক পরিমাণ চীন-নির্ভর হয়ে উঠতে পারে। আবার তাদের ক্ষুদ্র অর্থনীতি চীনা ঋণের চাপে দেনাগ্রস্থ হয়ে পড়তে পারে। এমনটি হলে তারা চীনের কাছে নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত সম্পদ ও নিজ ভূখন্ডে চীনের সামরিক উপস্থিতির অনুমোদন দিতে পারে। ফলে, এই অঞ্ছলে হুমকির মুখে পড়বে পশ্চিমা আধিপত্য।

তবে, চীনের এসব অর্থনৈতিক দূতিয়ালির বিপরীতে নিশ্চুপ বসে থাকতে রাজী নয় পশ্চিমারাও। ইতোমধ্যেই, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই দেশগুলিতে তাদের অর্থনৈতিক সাহায্য বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে। একই সঙ্গে তারা এই অঞ্চলে অবস্থিত তাদের কূটনীতিক মিশনগুলোর ব্যয়ও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৃদ্ধি করবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রয়টার্স

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়