মতিনুজ্জামান মিটু : ব্যাপক সম্ভাবনা থাকলেও মাত্র আড়াই থেকে চার কোটি টাকা দামের প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানার অভাবে কাজে লাগানো যাচ্ছেনা দেশে উৎপাদিত কাজু বাদাম বা হিজলি বাদাম। কাটছেনা কাজু বাদামের আমদানি নির্ভরতা। কারখানার অভাবে ম্যানুয়ালি চেষ্টা করে দূর করা যায়নি অপ্রয়োজনীয় উপাদান। ফলে আন্তর্জাতিক মানের হয়নি এদেশে উৎপাদিত কাজু বাদাম।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মেহেদী মাসুদ বলেন, দেশের অনেক জায়গায় বিশেষ করে পাহাড়ে এই বাদাম চাষ সম্প্রসারণের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। শুধুমাত্র প্রসেসিং কারখানার অভাবে ইতিপূর্বে কর্মসুচি নিয়েও এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো যায়নি। তবে আমরা এখনো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। দেশের হর্টিকালচার সেন্টারগুলোতে কাজু বাদামের মাতৃগাছ করছি। ব্যাক্তি উদ্যোগেও অনেকে দেশে কাজু বাদাম চাষ সম্প্রসারণের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার উইংসহ বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ আমেরিকার আদি নিবাস হলেও দেশের অনেক জায়গায় কাজু বাদামের গাছ দেখা যায়। রাজধানীর বলধা গার্ডেন ও বোটানিকাল গার্ডেনে রয়েছে মাঝারি আকারের চীর সবুজ শাখা প্রশাখায় ছড়ানো সুদর্শন এই গাছ। পাতা ১২ থেকে ১৮ সেন্টিমিটার লম্বা, ফুল সাদাটে। ফল কিডনি আকৃতির এবং বাদামের মতো। বীজের একটি অংশ খাওয়া যায়। বীজ থেকে চারা হয়। ফাল্গুন মাসে এই গাছে ফুল এবং আষাঢ়ে ফল ধরে।
আপনার মতামত লিখুন :