আসিফুজ্জামান পৃথিল: রাখাইন রাজ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য সিথওয়েতে নতুন একটি সমুদ্রবন্দর করার প্রস্তাব দিয়েছেন রাখাইন চেম্বার অফ কমার্সের চেয়ারম্যান উ থিন অং ও। গত সপ্তাহে মিয়ানমারের ভাইস প্রেসিডেন্টের সাথে বৈঠকে এই প্রস্তাব দেন তিনি। সিথওয়ে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে প্রধান বন্দর হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
অং ও বলেন এই প্রস্তাবিত বন্দরটি ২০ হাজার টন পর্যন্ত জাহাজ হ্যান্ডেল করতে সক্ষম হবে। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ বা পিপিপি’র আওতায় এই বন্দর নির্মাণের কথাও বলেন তিনি। এই প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছে সরকার। গত ৫ বছরে বিশাল পরিমাণ পন্য পরিবহিত হয়েছে এই বন্দর দিয়ে। দেশটির পরিবহণ ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে ২০১৭-১৮ সালে সিথাওয়ে বন্দর এলাকায় মোট সাড়ে ৩ লাখ টন মালামাল পরিবহন হয়েছে। ২০১৩-১৪ সালে এর পরিমাণ ছিলো ২ লাখ টন। তবে সিথওয়ে থেকে ইয়াঙ্গুনে প্রতিবছর মাত্র ৩৭ হাজার টন মাল পরিবহিত হয়, যা বন্দরটিতে থেকে পরিবহিত মালামালের মাত্র এক দশমাংশ।
মিয়ানমার বাংলাদেশ বাণিজ্যে প্রধাণতম বন্দর এই সিথওয়ে। গত ৫ বছরে এই বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে মালামাল পরিবহণ দ্বিগুণ হয়েছে। বর্তমানে সিথওয়ে এলাকায় বন্দর রয়েছে। একটি রাষ্ট্র মালিকানাধীন হগুপাংদাওয়াগি বন্দর এবং আরেকটি সুইমিনগান বন্দর। এটি এশিয়ান উন্নয়ন ব্যঙ্কের অর্থায়নে নির্মিত হয়েছিলো। দুই বন্দরেরই ১০০০ টনের অধিক জাহাজ হ্যান্ডেলিং এর সক্ষমতা নেই। বর্তমান অবকাঠামোয় প্রতিটি বন্দরের একটি জাহাজে পণ্য উত্তোলনে ১০ দিন লাগে।
এই বন্দর দিয়ে মিয়ানমার বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে চায়। তবে এই এলাকা থেকেই তারা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বিতাড়িত করেছে। এই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির ১০ লক্ষাধিক বর্তমানে বাংলাদেশে বসবাস করছেন শরণার্থী হিসেবে। মিয়ানমার টাইমস
আপনার মতামত লিখুন :