দেবব্রত দত্ত : রাজধানী ছাড়া দেশের ছয়টি বিভাগীয় শহরের চারটিতেই নেই কোন ট্রাক টার্মিনাল। চট্টগ্রাাম, রাজশাহী , খুলনা ও বরিশালসহ চারটি টার্মিনাল থাকলেও ব্যবহার হচ্ছে না সেগুলো। যত্রতত্র ট্রাক পার্কিংয়ের কারণে ভোগান্তি পোহাচ্ছে নগরবাসী। এ বিষয়ে চোখ বন্ধ রাখার অভিযোগ আছে নগর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
বন্দরনগরী চট্টগ্রাম ও বরিশাল এক শ’ ট্রাক ধারণক্ষমতার একটি টার্মিনাল ও গোসলখানা পড়ে আছে পরিত্যক্ত অবস্থায়। প্রতিদিন বিভিন্ন জেলা সদর থেকে শহরে ট্রাক আসে গড়ে অন্তত চার হাজার। নগরীর ১০টি পয়েন্টে যত্রতত্র রাখা হচ্ছে এসব যানবাহন। দীর্ঘদিনের দাবি থাকলেও কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধার টার্মিনাল নির্মাণের কোন উদ্যোগ নেয়নি বলে অভিযোগ পরিবহন নেতাদের।
তবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বলছে, অর্থ বরাদ্দে জটিলতা ও জমি সঙ্কটের কারণে স্থায়ী ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ করা যাচ্ছে না। রাজশাহী সিটি বাইপাস এলাকায় পাঁচ শ’ ট্রাক ধারণক্ষমতার এই টার্মিনালটি ১৭ বছর আগে নির্মিত হয়। তবে সব সময়ই ফাঁকা পড়ে থাকে এটি। অথচ শহরের বেশিরভাগ রাস্তার দু’ধারে ট্রাক রাখায় ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। এ বিষয়ে ট্রাক মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়ন দায়ী করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সমন্বয়হীনতাকে। খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গায় একটি ট্রাক টার্মিনাল থাকলেও ব্যবহৃত হচ্ছে না। ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা বলছেন, শহরের বাইরের টার্মিনালটিতে প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা না থাকায় নগরীর মানিকতলা ও কদমতলাকে বেছে নিয়েছেন তারা। বরিশাল শহরে নেই কোন ট্রাক টার্মিনাল। তাই পণ্য খালাসের পর ট্রাকগুলো অবস্থান করছে যত্রতত্র। টার্মিনালের দাবিতে আন্দোলন করেও ফল পাননি ট্রাক শ্রমিকরা। একই অবস্থা সিলেট মহানগরীতেও। সেখানে টার্মিনালের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণে বাস্তবে কিছুই করেনি সিটি কর্পোরেশন। এ ব্যাপারে বরিশাল সিটি কর্রপোরেশনের ১৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলের আকতারুজ্জামান হিরু সাথে আলাপকালে জানান বরিশালে একটি ট্রাক স্ট্যান্ডের কাশিপুর স্কুল এন্ড কলেজের সামনে জায়গা নেয়া হয়েছে। তবে প্রশাসনিক অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।
আপনার মতামত লিখুন :