স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল : কার্গোর সাথে সংঘর্ষে একটি যাত্রীবাহী লঞ্চের তলা ফেঁটে গেছে। এতে পানি প্রবেশ করতে থাকায় মঙ্গলবার দিবাগত রাত নয়টার দিকে লঞ্চটি বরিশাল নৌ-বন্দরে নোঙর করায় প্রাণে বেঁচে গেছেন প্রায় দুই হাজার যাত্রী।
বিআইডব্লিটিএ’র বরিশাল অফিসের কর্মকর্তারা জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে আটটার দিকে ঝালকাঠির গাবখান চ্যানেলে দুর্ঘটনা কবলিত লঞ্চটি মধ্যরাতে মেঘনা নদীতে প্রবেশ করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার কবলে পরতো।
লঞ্চের একাধিক যাত্রীরা জানান, বরগুনা থেকে ঢাকায় আসছিলো যাত্রীবাহী শাহরুখ-১ নামের একটি লঞ্চ। রাত সাড়ে আটটার দিকে ঝালকাঠির গাবখান চ্যানেলে লঞ্চটির সাথে বিপরীতমুখী একটি মালবাহী কার্গোর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে লঞ্চটির সামনের অংশের বাম পাশে তলায় ফাঁটল ধরে পানি ওঠে।
তবে এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। যাত্রীরা অনেকবার মাস্টারকে লঞ্চটি নোঙর করতে বললেও তিনি তা করেননি। পাশাপাশি প্রথম থেকেই সার্চ লাইট না জ্বালিয়ে মাস্টার বেপরোয়াভাবে লঞ্চ চালাচ্ছিলেন বলেও যাত্রীরা অভিযোগ করেন। সূত্রমতে, একপর্যায়ে যাত্রীরা হুলস্থুল শুরু করলে লঞ্চের মাস্টার বাধ্য হয়ে বরিশাল নদী বন্দরে লঞ্চটি নোঙর করতে বাধ্য হন। ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন ঢাকাগামী যাত্রীরা। খবর পেয়ে বিআইডব্লিউটিএ, নৌ-পুলিশ ও থানা পুলিশ যাত্রীদের বরিশাল নদী বন্দরে নামিয়ে দিয়ে পরীক্ষা করে রাত সাড়ে দশটার দিকে লঞ্চটির ত্রুটি পাওয়ায় ঢাকার যাত্রা বাতিল করেছেন।
শাহরুখ-১ লঞ্চের মাস্টার উজির আলী বলেন, লঞ্চটির যতটুকু অংশ ফেঁটে গিয়েছিলো তাতে ঢাকা পৌঁছাতে কোনো সমস্যা হতো না। শুধুমাত্র যাত্রীদের হুলস্থুলতার কারণে লঞ্চ নোঙর করা হয়েছে। বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক আজমল হুদা মিঠু সরকার বলেন, নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের শিপ সার্ভেয়াররা লঞ্চটি পর্যবেক্ষণ করছেন। পূর্ণাঙ্গ সার্ভে না করা পর্যন্ত লঞ্চটিকে যাত্রার জন্য উপযোগী বলা যাচ্ছেনা।
তাই লঞ্চটির যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। পাশাপাশি যেকোনো অবস্থাতেই লঞ্চটিকে বরিশাল নদী বন্দর থেকে অন্য কোথাও না নেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যাত্রীদের বিষয়ে তিনি বলেন, ওই লঞ্চের যাত্রীরা রাতভর বন্দরে অবস্থান নিয়েছেন। যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য সারারাত নৌ-পুলিশ ও থানা পুলিশ বন্দরে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :