শিরোনাম
◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে ◈ সেনা গোয়েন্দাসংস্থার বিরুদ্ধে ৬ পাক বিচারপতির ভয় দেখানোর অভিযোগ ◈ নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিরা সাদা পতাকা উড়াচ্ছিল, তাদের বূলডোজার দিয়ে মাটি চাপা দিল ইসরায়েলী সেনারা ◈ ইসরায়েলের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা দ্রুত আরোপ করুন: জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ ◈ যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত ◈ বাংলাদেশে পূর্ণাঙ্গ ও মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে কাজ করে যাবে যুক্তরাষ্ট্র: ম্যাথিউ মিলার ◈ ঈদের পর কমপক্ষে ২৩ ডিসি’র রদবদল হতে পারে ◈ ৫ থেকে ১৪ এপ্রিলের মধ্যে কর্মদিবস একদিন

প্রকাশিত : ৩০ আগস্ট, ২০১৮, ১২:৩৪ দুপুর
আপডেট : ৩০ আগস্ট, ২০১৮, ১২:৩৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

তাক লাগানো অতি দূর্গম গ্রাম অং থুই প্রু

আসিফুজ্জামান পৃথিল: সবাইকে চমকে দিয়েছে বান্দরবানের থানচি উপজেলার অতি দূর্গম গ্রাম অং থুই প্রু পাড়া । একটি এনজিওর উদ্যোগে এই পাড়ায় স্থাপিত একটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র আলোকিত করছে বিদ্যুৎ সুবিধা বঞ্চিত এই দূর্গম পাগাড়ি গ্রামকে।

ঢাকা থেকে থানচির দূরত্ব ৪০০ কিলোমিটার। সেখান থেকে যেতে হবে খরস্রোতা সাঙ্গু ধরে আরো ১২ কিলোমিটার উজানে পদ্মমুখে। এরপর পদ্মঝিড়ি ধরে হাটা পথে ৪ কিলোমিটার ট্র্যাকিং করলে অং থুই প্রু পাড়া। এই পাড়ার ৩০টি পরিবারের মাত্র অল্প কয়েকটি আগে সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ পেতো। তবে তারা এখন পেয়েছে আরো সস্তা এবং টেকসই একটি সমাধান। জলবিদ্যুৎ। সদ্য স্থাপিত একটি পিকো হাইড্রোপাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে পাওয়া যাচ্ছে এই বিদ্যুৎ। এই ক্ষুদ্র কেন্দ্রে ১০ কিলোওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব।

ঢাকা ভিত্তিক এনজিও অপরাজেয় এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কৃতিত্বের দাবীদার। গত মাসে তারা পদ্মঝিড়িতে এই কেন্দ্র স্থাপন করে। এই ধরণের বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আলাদা করে রিজার্বার বানানোরও প্রয়োজন নেই। খুব সামান্য পানি প্রবাহেই বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব। খুবই কম শুষ্ক এবং অর্থ প্রয়োজন এ ধরণের কেন্দ্রের জন্য। এবং এর ফলে পাওয়া যায় পরিচ্ছন্ন সবুজ শক্তি। বাংলাদেশের মতো দেশ যারা নিজেদের প্রয়োজনীয় শক্তির প্রায় পুরোটাই জীবাষ্ণ জ্বালাানী থেকে উৎপাদন করে তাদের জন্য এর চাইতে আদর্শ উদাহরণ আর হয়না।

অং থুই প্রু পাড়ার সকলেই জুমের ফসলের উপর নির্ভরশীল। বছরে মাত্র একবারই এই ফসল উৎপাদন করা যায়। তবে এই কেন্দ্র তাদের জন্য নতুন সুযোগের দুয়ার খুলে দিয়েছে। এখন সেচের মাধ্যমে বছরে একাধিক ফসল উৎপাদনের কথাও ভাবছেন এই গ্রামের অধিবাসিরা। এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবহারকারী ৩০টি পরিবার। তারা এখন অধিক আয় করতে পারবেন, নিজেদের ফসলে সেচ দিতে পারবেন, বিষুদ্ধ পানীয় জলের জন্য ফিল্টার স্থাপন করতে পারবেন এবং শিশুদের শিক্ষায় নতুন দিগন্ত উন্মেচিত হবে। এসব কথা বলেছেন অপরাজেয় এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজি মনির হোসেন।

অদূর ভবিষ্যতে এই এনজিও থানচির আরো দূর্গম সব গ্রামে এধরণের বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করতে চায়। পুরো পার্বত্য চট্টগ্রামকেই এভাবে বিদ্যুতায়িত করা সম্ভব বলে তারা বিশ্বাস করে। ইকো-বিজনেস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়