ফাহিম ফয়সাল : দেশে প্রয়োজনীয় সংখ্যক সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক তৈরি না হওয়া পর্যন্ত অবাণিজ্যিক এলাকায় ব্যবসা পরিচালনাকারী বেসিস সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে উচ্ছেদ না করার আহবান জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর।
বুধবার (২৯ আগস্ট) বেসিস কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই আহবান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, গুলশান, বনানী, বারিধারা, ধানমন্ডি, মিরপুর ও উত্তরা অবৈধ প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ ও আবাসিক এলাকা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাণিজ্যিক এলাকাতে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। এই পর্যন্ত দুটি বেসিসভূক্ত প্রতিষ্ঠানকে অবাণিজ্যিক এলাকা থেকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। এতে করে বেসিসের আরো ৮০০ এর অধিক প্রতিষ্ঠান শঙ্কায় রয়েছে।
তিনি বলেন, কোনোপ্রকার পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই এসব প্রতিষ্ঠান তালাবদ্ধ করলে তাদের ব্যবসা শুধুমাত্র মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীনই হবে না, বরং সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ কার্যক্রম ব্যাহত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ফারহানা এ রহমান বলেন, আমেরিকা, ইউরোপ ও জাপানের মতো বিভিন্ন দেশের সাথে টাইমজোনের পার্থক্য রয়েছে। তাদের সঙ্গে সময় মিলিয়ে কাজ করার জন্য অনেক অফিস ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখতে হয়। তাছাড়া এসকল প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত জনবল নিরবেই কাজ করে এবং কোলাহল করে না বিধায় তাদের কাজের জন্য আবাসিক বা অবাণিজ্যিক এলাকাই ভালো।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বেসিস এর ১১’শ সদস্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮০০ এর অধিক প্রতিষ্ঠান ঢাকা শহরের অবাণিজ্যিক এলাকায় অবস্থান করে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করছে। এসকল প্রতিষ্ঠানে লক্ষাধিক জনবল কর্মরত আছে। গত অর্থ বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী অবাণিজ্যিক এলাকায় অবস্থিত এসব প্রতিষ্ঠান বাজারে বিনিয়োগ করেছে ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ এবং আইটি ও আইটিইএস খাত রপ্তানি আয় করেছে প্রায় ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। অর্থাৎ দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাত তথা বেসিস সদস্যবৃন্দ।
আপনার মতামত লিখুন :