স্পোর্টস : সর্বশেষ ম্যাচে টটেনহ্যাম হটস্পারের কাছে ৩-০ গোলে হারের পর ব্যাপক চাপে আছেন হোসে মরিনহো। গত ২৬ বছরে প্রিমিয়ার লিগে সবচেয়ে বাজে শুরু করেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
টটেনহ্যামের কাছে হারের পর দর্শকদের দিক থেকে কটূক্তির শিকার হয়েছেন মরিনহো। অনেকে আবার ওল্ড ট্র্যাফোর্ড থেকে পর্তুগিজ কোচের বিদায়ও দেখতে চান। যদিও সমর্থকদের কাছ থেকে আরো বেশি শ্রদ্ধা পাওয়ার দাবি করেছেন ক্ষুব্ধ ‘স্পেশাল ওয়ান’।
রোববার বার্নলির বিরুদ্ধে ম্যাচ আছে ম্যানইউর। সেই ম্যাচে হারলে মরিনহোকে বরখাস্তের আবেদন উঠতে পারে জোরেশোরেই। তবে বরখাস্তের আগেই তিনি পদত্যাগ করবেন কিনা সেটাও এক প্রশ্ন।
স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন অবসরে যাওয়ার পর আর কোনো কোচই ম্যানইউতে সফল হতে পারেননি এবং সবাইকেই বরখাস্ত হতে হয়েছে। এখন বড় প্রশ্ন মরিনহো পদত্যাগ করলে বা বরখাস্ত হলে তার জায়গায় কে বসবেন?
ব্রিটিশ মিডিয়ার চোখে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে মরিনহোর তপ্ত চেয়ারে বসার একাধিক বিকল্প আছে। যাদের মধ্যে উপরে আছেন রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক কোচ জিনেদিন জিদান। তার সঙ্গে নাম আছে মাউরিসিও পচেত্তিনো, অ্যান্থনিও কন্তে ও লরা ব্লাঙ্কের।
ম্যানইউর কোচ হিসেবে অনেকদিন ধরেই পচেত্তিনোর নাম শোনা যাচ্ছিল। লুইস ফন গাল চলে যাওয়ার পর সবচেয়ে জোরাল গুঞ্জন ওঠে। শেষ পর্যন্ত হয়নি।
আগের চার ম্যাচে ওল্ড ট্রাফোর্ডে কোনো গোলই করতে পারেনি টটেনহ্যাম। কিন্তু সর্বশেষ ম্যাচে সেই মাঠে তিন গোল করে দলটি। এরপরই পচেত্তিনোর দিকে বেশি করে চোখ পড়েছে ম্যানইউর। মুশকিল হল, টটেনহ্যামের লম্বা প্রজেক্টের অংশ আর্জেন্টাইন এই কোচ। কয়েকদিন আগে নতুন করে ৫ বছরের চুক্তিও করেছেন ক্লাবের সঙ্গে। তাকে নিয়ে আরো একবার হতাশ হতে পারে রেড ডেভিলরা।
জিদানের বিষয়টা একটু ভিন্ন। গত মৌসুমে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনা চেয়ে লিগে ১৭ পয়েন্ট পিছিয়ে শেষ করে রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু টানা তিনবার দলকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জিতিয়ে তিনি যখন পদত্যাগ করেন তখন অবাক হয়েছিল পুরো ফুটবল বিশ্বই।
রিয়াল ছাড়ার পর এখনো কোনো দলের দায়িত্ব নেননি জিদান। নিজের ভবিষ্যত সম্পর্কে পরিষ্কার করে কিছু বলেনওনি ফরাসি কিংবদন্তি। এটাই আশা জাগাচ্ছে ম্যানইউকে।
বিশ্বের খুব কম কোচই আছেন যারা রিয়ালের মতো মর্যাদাসম্পন্ন ক্লাবের দায়িত্ব নিয়ে প্রতিযোগিতা করতে পারেন। সেই ক্লাব ছেড়ে আসা একজন আবার যেনতেন ক্লাবে যেতে পারেন না। ম্যানইউ অবশ্য বিশ্বের সেরা তিনটি ক্লাবের একটি, যেখানে অনায়াসে যেতে পারেন জিদান। ফলে দুইয়ে দুইয়ে চার মিলে গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
এই দুজন ছাড়াও চেলসি থেকে বরখাস্ত ইতালিয়ান হাইপ্রোফাইল কোচ অ্যান্থনিও কস্তে, দুবছর আগে পিএসজি থেকে অপসারিত লরা ব্লাঙ্কও এই মুহূর্তে ফাঁকা আছেন। তাদের নিয়েও ভাবছে ইংলিশ ক্লাবটি।
পোড় খাওয়া সব কোচদের সঙ্গে মরিনহোর বিকল্প হিসেবে নাম শোনা যাচ্ছে ম্যানইউরই দীর্ঘদিনের কান্ডারি মাইকেল ক্যারিকের।
আপনার মতামত লিখুন :