রবিন আকরাম : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ফসল ফেসবুক, টুইটার, লিঙ্কডইন এবং আরো কত সব সামাজিক যোগাযোগ। এ মাধ্যমগুলো আমাদের খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে দুনিয়ার এ প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে তাজা খবরগুলো পৌঁছে দেয়। শুধু সংবাদই নয়, এর মাধ্যমে স্থিরচিত্র বা ধারণকৃত ভিডিও পাঠানোও খুব সহজলভ্য। এছাড়াও ফেসবুক আরো বিভিন্ন ইস্যু তৈরিতে ভূমিকা রাখে।
জনসমর্থন পেতে সহায়ক ফেসবুক
আপনি কোনো একটি ইস্যুর প্রতি জনসমর্থন চাচ্ছেন? কিংবা চাচ্ছেন সেই ইস্যুর প্রতি একাত্মতা প্রকাশকারীদের রাজপথে জড়ো করতে? একটি ফেসবুক ইভেন্ট এই কাজ সহজ করে দিতে পারে৷ ২০১৩ সালে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গণ আন্দোলনের শুরুটা হয়েছিল এভাবেই, এক ফেসবুক ইভেন্টের মাধ্যমে৷
যে কোনো খবর দ্রুত ছড়ায়
ফেসবুকের একটি বড় সুবিধা হচ্ছে যে কেউ চাইলে যে কোনো তথ্য দ্রুত ছড়িয়ে দিতে পারে সামাজিক যোগাযোগের এই মাধ্যমটির মাধ্যমে৷ বিশেষ করে, যাদের ফেসবুকে অনেক অনুসারী রয়েছে, তারা যে কোনো তথ্য ভাইরাল করে দিতে ভূমিকা রাখতে পারে এর মাধ্যমে৷
নিরাপত্তায় ফেসবুক
ইদানীং দেখা যাচ্ছে, পুলিশ বা নিরাপত্তা বাহিনীর সামনে ফেসবুক লাইভ চালু করা স্মার্টফোন নিয়ে ঘুরলে তারা বেশ সতর্ক থাকেন৷ আন্দোলনকারী অ্যাক্টিভিস্টরা অনেক সময় এই পন্থা কাজে লাগিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে কথা বলা কিংবা বিরুপ পরিস্থিতিতে কোনো স্থান ত্যাগ করে থাকেন৷
ভুয়া খবর প্রকাশেরও মাধ্যম
মার্কিন নির্বাচন বলুন, আর স্কুল শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন – ফেসবুকের মাধ্যমে ভুয়া সংবাদ ছড়িয়ে পড়া এখনও এক বড় সমস্যা৷ যদিও গত কয়েকবছরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি ভুয়া খবর বা তথ্য ছড়ানো রোধে নানা উদ্যোগ নিয়েছে, কিন্তু এখনো সেক্ষেত্রে বড় সাফল্য আসেনি৷ বরং এই ইস্যুতে ফেসবুক ক্রমশ সাধারণ মানুষের আস্থা হারাচ্ছে
প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ, তবে ভিন্নভাবে
যে কোনো ধরনের জরুরি পরিস্থিতিতে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম বন্ধ করে দেয়ার বদলে, হালনাগাদ তথ্য প্রকাশের মাধ্যমে জনগণের মনোযোগ একদিকে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে জার্মানির নিরাপত্তা বাহিনী৷ গত কয়েকবছরে দেশটিতে একাধিক বড় সমাবেশ, এবং হামলার সময় পুলিশকে দেখা গেছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য জানাতে৷ একইভাবে সাধারণ মানুষের কাছে কোনো তথ্য থাকলে তা নেয়ার জন্যও অনলাইনে বিশেষ ব্যবস্থা করে পুলিশ বাহিনী৷
ফেসবুকের পাশাপাশি ইন্সটাগ্রাম
আমাদের অঞ্চলে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম বলতেই এখনো ফেসবুক মনে করা হয়৷ ঢাকায় সর্বশেষ ছাত্র বিক্ষোভের সময়ও এই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের শক্তি টের পাওয়া গেছে৷ অবস্থা এমন যে, সাধারণ মানুষের ফেসবুক নিয়ন্ত্রণে সরকার আইনের কড়া প্রয়োগ করছে৷ তবে স্কুল শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় ফেসবুকের পাশাপাশি ইন্সটাগ্রামও ব্যবহার করতে দেখা গেছে৷
ডয়চে ভেলেতে লিখেছেন- আরাফাতুল ইসলাম
আপনার মতামত লিখুন :