আশিক রহমান: রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখন সত্য উপলব্ধি করছে বলে মনে করেন সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, রাখাইনে যে গণহত্যা ও জাতিগত নিধনযজ্ঞ চলেছে, বিশ্ব এখন তা স্বীকারও করছে। বাস্তুহারা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আমরা প্রথম থেকেই এ কথাগুলো বলে আসছি যে, রোহিঙ্গাদের নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞের ঘটনা যেভাবে চিত্রিত করার চেষ্টা করেছে মিয়ানমার, সত্য তা নয়। মূলত রাখাইন থেকে সেখানকার জনগোষ্ঠীকে চিরতরে উৎখাতের জন্যই দেশটির সেনাবাহিনী জাতিগত নিধনযজ্ঞ চালিয়েছে। গণহত্যা বা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ করেছে। তারই একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি জাতিসংঘের প্রকাশিত রিপোর্টের মধ্যদিয়ে উঠে এসেছে।
তিনি আরও বলেন, মিয়ানমার এতদিন ধরে রোহিঙ্গা ইস্যুটাকে নানাভাবে ঢাকার চেষ্টা করেছে। রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার ব্যাপারে ঢিলেঢালাভাবে কাজ করেছে, আলোচনা বা কথাবার্তা বলেছে। এখন হয়তো তারা উপলব্ধি করতে পারবে। রোহিঙ্গা সমস্যার যৌক্তিক সমাধান না করলে তাদের জন্যই সমস্যাটা আরও জটিল হবে। আশা করি, মিয়ানমারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। রোহিঙ্গাদের সসম্মান ফিরিয়ে নেওয়ার উপলব্ধি তৈরি হলেই হয়তো সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান হবে বা সংকটের সমাধান মিয়ানমার করতে পারবে।
হুমায়ুন কবির বলেন, রোহিঙ্গাদের উপর চালানো গণহত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ একটা অপরাধ। অপরাধের দায়বদ্ধতা নির্ধারণ করা প্রয়োজন। সেটাই জাতিসংঘের প্রতিবেদনের মধ্যদিয়ে প্রতিষ্ঠিত হলো। গত এক বছরে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে কোনো অগ্রগতি হয়নি। তবে জাতিসংঘের সদ্য প্রকাশিত তথ্যানুসন্ধানী রিপোর্ট প্রকাশ মিয়ানমারের জন্য অত্যন্ত নেতিবাচকভাবে এসেছে। মিয়ানমার যদি এখন উপলব্ধি করে সমাধানের উদ্যোগ নেয় তাহলেই আমরা খুশি।
আপনার মতামত লিখুন :