শিরোনাম
◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও

প্রকাশিত : ২৯ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০২ দুপুর
আপডেট : ২৯ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিশ্বাস পাচ্ছে না বিএনপি

ডেস্ক রিপোর্ট : জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়ে এখন গঠন প্রক্রিয়ায় বিশ্বাস ও আস্থাহীনতায় ভুগছে বিএনপি। দলটির নেতাদের ভাষ্য, অনির্বাচিত সরকারকে বিদায় করতে জাতীয় ঐক্য গঠনের ডাক দেওয়া হলেও গঠন প্রক্রিয়ায় ঘুরে ফিরে জাতীয় ঐক্য গঠনে এগিয়ে আসা বিভিন্ন দলের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা নির্বাচনি ঐক্যের ওপর জোর দিচ্ছেন ও মতামত তুলে ধরছেন, যা মূল লক্ষ্যে পৌঁছাতে অন্তরায় হতে পারে।

বিএনপির নীতি নির্ধারকদের ভাষ্য, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জাতীয় ঐক্য গঠনের আহ্বানেও নির্বাচনি ঐক্য গড়ে তোলার কথা ছিল না, বরং ছিল এই সরকারকে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য করতে ঐক্যবদ্ধ হওয়া। সে ক্ষেত্রে এখন জাতীয় ঐক্য গঠনে শর্ত আরোপ বিষয়টি কীভাবে আলোচনায় আসে, তা বোধগম্য নয়। কেননা বিএনপির জাতীয় ঐক্যের আহ্বানে বলা হয়েছিল, যে বা যারা (রাজনৈতিক দল, ব্যক্তিবর্গ ও প্রতিষ্ঠান) ক্ষমতাসীনদের বিদায় করতে চায়, তাদের নিয়েই জাতীয় ঐক্য অগ্রসর হবে। কিন্তু বাস্তবতায় এককথায় বলা যায়, সবাই যেন নির্বাচনি ঐক্য গঠনকেই গুরুত্ব দিচ্ছে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য জাতীয় ঐক্য গঠন করে ক্ষমতাসীনদের বিদায় করার পর যা হওয়া বা করা তা-ই বিবেচনায় রাখা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র অনুযায়ী, জাতীয় ঐক্য গঠনে অগ্রসর হওয়া রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতাসীনদের ফের ক্ষমতায় যেতে সিঁড়ি হচ্ছে বা ব্যবহার হতে পারে কি না, সেই বিষয়টিও বিএনপিকে ভেবে দেখতে হচ্ছে। কারণ, জাতীয় ঐক্য গঠনের ফ্রন্ট লাইনে থাকা গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না—এই তিনজনেই একসময় আওয়ামী ঘরের লোক ছিলেন। পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক মতাদর্শে বিভিন্ন দল গঠন করলেও নিজ ঘরে যে ফেরত যাবে না, তারই বা নিশ্চিয়তা কী?

এ ছাড়া বিকল্প ধারার চেয়ারম্যান ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে এলেও দল ছেড়ে চলে যাওয়ার প্রক্রিয়াটা খুব একটা শোভনীয় ছিল না। যদিও তিনি দল ছেড়ে চলে যাওয়ার পরও বিএনপির সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন। তেমনটিই যদি হয়, সে ক্ষেত্রে অপর তিনজন নেতার সঙ্গে যে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে যোগাযোগ হচ্ছে না বা তারা যে আওয়ামী লীগের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন না, যোগাযোগ নেই তা কী করে বিশ্বাসযোগ্য হয়? তারপরও যেহেতু রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু নেই, এমনটা বিবেচনায় রেখেই বিএনপিকে আগামী দিনে জাতীয় ঐক্য গঠনে পর্যবেক্ষণ করতে হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন নেতা বলেন, ‘জাতীয় ঐক্য গঠন প্রক্রিয়া সৃষ্টি নিয়ে যেমন সম্ভাবনা রয়েছে, তেমনি না হওয়ার সম্ভাবনাও তো থাকছে। যেমন—বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন। তিনি এখন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলায় কারাবন্দী, আর সেই সুযোগে এখন বিএনপিকে জাতীয় ঐক্যের সঙ্গে যুক্ত হতে নানা শর্ত জুড়ে দেওয়া হচ্ছে। যেমনটি প্রচলিত আছে—আমার বাড়ি আমার ঘর, আমায় বলে সর।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি তো মনে করি জাতীয় ঐক্য গঠনের পূর্বে দুই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও ড. কামাল হোসেনের মধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে। তাদেরকেই নির্ধারণ করতে হবে, তারা জাতীয় ঐক্য গঠন করবে সরকারকে বিদায় করতে, নাকি নির্বাচনি ঐক্যের দিকে মনোনিবেশ করবেন। কারণ জাতীয় ঐক্য গঠন যদি সরকারকে বিদায় করতে হয়, তাহলে তারা কেন ঐকমত্যে পৌঁছাতে শর্ত দিচ্ছেন।

এমনকি নির্বাচনি ঐক্য গড়ে তুলতেও তো এই মুহূর্তে শর্তের প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। কারণ, প্রথম প্রথম বলে বেরিয়েছে বিএনপির সঙ্গে জামায়াত ইসলামীকে রেখে জাতীয় ঐক্য হবে না। জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করতে হবে, তারপর জাতীয় ঐক্যের বিষয়ে ভেবে দেখা হবে। এখন জামায়াতকে জোটে রেখেই শর্ত দেওয়া হচ্ছে আবার ঐক্যবদ্ধভাবে কারাবন্দী খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি করা যাবে না।’

বিএনপির ওই নেতা আরও বলেন, ‘সম্প্রতি গণমাধ্যমের খবরে জানতে পেলাম, জাতীয় ঐক্য গঠন প্রক্রিয়ার প্রাথমিক পর্যায়ে গঠিত যুক্তফ্রন্টের ব্যানারে কামাল হোসেনের গণফোরাম যুক্ত হবে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে, সে ক্ষেত্রে তারাই আগে তাদের স্ব-স্ব অবস্থান স্পষ্ট ও পরিষ্কার করুক। বিএনপি না হয় তখন ভেবে দেখবে। কারণ, বিএনপি তার দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন আদায়ে আন্দোলন করে যাচ্ছে এবং সেই দাবি আদায়ে জাতীয় ঐক্য গঠন না হলেও আন্দোলন চালিয়ে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।’

বছর খানেক আগে বিকল্পধারার চেয়ারম্যান ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বে আ স ম রবের জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) ও মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্য মিলে যুক্তফ্রন্ট গঠন করে। এরপর বিভিন্ন সভা-সমাবেশে যুক্তফ্রন্টের নেতারা বলে আসছিলেন, ড. কামাল হোসেন যুক্তফ্রন্টে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু বছর পে‌রি‌য়ে গে‌লেও কামাল হো‌সেনের গণ‌ফোরাম যুক্তফ্র‌ন্টের সঙ্গে যুক্ত হয়নি এবং হ‌বে কি হ‌বে না, সে বিষয়টি অস্পষ্ট।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যের সবকিছুই এখনো আলোচনা পর্যায়ে আছে। শর্ত দেওয়া এবং শর্ত না দেওয়া, যা গণমাধ্যমে আসতেছে; সেগুলো মূলত তেমন কিছুই না। বরং এই সরকারের অধীনে নির্বাচন না করাটাই মুখ্য। বিবেচ্য বিষয় যদি নির্বাচন হয়, তাহলে নির্বাচনটা কেমন হবে। ফলে এই সরকারের অধীনে হলে কী কী শর্তে হতে পারে, আবার না হলে কী কী শর্তে হতে পারে, এসব কিছুই আলোচনায় উঠে আসছে।

এর মূল উদ্দেশ্য সরকারকে আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসা। যেমন ২০ দলীয় জোটের দাবি নির্বাচনকালীন দলনিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন। সে ক্ষেত্রে ড. কামাল হোসেন দলনিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থার কথা না বললেও এই সরকারের অধীনে নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু হবে না বলে জানিয়েছেন এবং ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে ভালো নির্বাচন হবে না।’

এক প্রশ্নের জবাবে দুদু বলেন, ‘সবার সঙ্গে সবার যোগাযোগ থাকতে পারে। তবে যেহেতু আগামী নির্বাচনের ধরনটা এখনো অস্পষ্ট, তাই কারা কখন কোন সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে চাচ্ছে, তা স্পষ্ট হওয়ার আগ পর্যন্ত, আস্থা সবার ওপরেই রাখতে হচ্ছে। জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ততা নেই, এমন রাজনৈতিক দলগুলোর ওপরও বিএনপি আস্থা রাখতে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।’

এদিকে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে—এমন একটি নির্ভরশীল সূত্রের ভাষ্য, কে কার সঙ্গে জোটভুক্ত হ‌বে কিংবা হ‌বে না, সেটা মুখ্য বিষয় নয়। মুখ্য বিষয় জাতীয় ঐক্য গ‌ড়ে তোলা এবং সেটা যেকোনো না‌মেই হ‌তে পা‌রে, জাতীয় ঐক্য গঠন করা গেলে হয়‌তো ঐক্যের প্রশ্নে কারো আপ‌ত্তিও থাকবে না। কারণ, আমরা চাই দেশে এক‌টি গ্রহণযোগ্য নিরপেক্ষ নির্বাচনসহ ঐক্য প্রক্রিয়ার কথাগুলো যেসব দল মানবে, তারাই এখানে যোগ দিতে পারবে। তবে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় ড. কামাল ও ডা. বি চৌধুরীর মধ্যে নেতৃত্বের মনোমালিন্য থাকায় কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে বলেও জানায় সংশ্লিষ্ট সূত্র।

সম্প্রতি জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় যুক্ত গণস্বাস্থ্য হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী ব‌লে‌ন, ‘জাতীয় ঐক্যের একটি ধাপ হচ্ছে এই বৃহত্তর ঐক্য। তবে ড. কামাল হোসেন ও ডা. এ কিউ এম বদরু‌দ্দোজা চৌধুরী—এই দুই নেতা এক হয়ে গেলে জাতীয় ঐক্য গঠনের কাজ সহজ হয়ে যাবে।’

জানতে চাই‌লে গণ‌ফোরা‌মের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘জাতীয় ঐক্য গঠন কর‌তে হ‌লে জোটভুক্ত হ‌তে হ‌বে এমনটা ঠিক নয়। গণ‌ফোরাম কারো স‌ঙ্গে (‌বিএন‌পি বা যুক্তফ্রন্ট) জোটভুক্ত হ‌চ্ছি না। আমরা চা‌চ্ছি জাতীয় ঐক্য গঠন কর‌তে।’

ঈদুল আজহার পর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে কারাগারে সাক্ষাৎ শেষে গণমাধ্যমকে জানান, খালেদা জিয়া অসুস্থ হলেও মনোবল অটুট রয়েছে। তিনি সবাইকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, জাতীয় ঐক্য গঠ‌নে আজ মঙ্গলবার (২৮ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে বেইলি রোডে গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের বাসায় বৈঠক শুরু হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত আছেন ড. কামাল হোসেন এবং যুক্তফ্রন্টের তিন দল বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, মহাসচিব আবদুল মান্নান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না প্রমুখ।

যুক্তফ্রন্টের নেতাদের ম‌ধ্যেও একটি বৈঠক হওয়ার কথা। ‌সেখা‌নে জাতীয় ঐক্য গঠ‌নে চূড়ান্ত সিদ্ধা‌ন্তে পৌ‌ঁছে পরবর্তী‌ সময়ে বিএন‌পিসহ যেসব রাজ‌নৈ‌তিক দল জাতীয় ঐক্য গঠ‌নে থাক‌তে চায়, তা‌দের মতামত ও পরামর্শক্র‌মে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের পথচলা আনুষ্ঠা‌নিকভাব শুরু করা হ‌বে। এমনকি জাতীয় ঐক্যের ব্যানারে রাজধানীতে একটি সমাবেশ করার সিদ্ধান্তও আসতে পারে।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ‘গণবিরোধী স্বৈরশাসন চলছে—এর থেকে পরিত্রাণ পেতে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য জাতীয় ঐক্য গঠন করা হচ্ছে এবং সেই ঐক্যটা যদি সামনে অগ্রসর হতে প্রাথমিক পর্যায়ে আন্দোলনের প্রয়োজন হয়, আন্দোলন হবে। কারণ, পরবর্তী সময়ে সেটা নির্বাচনি ঐক্য পরিণত হওয়ার সম্ভাবনাও আছে।

ফলে জাতীয় ঐক্য গঠনে কোনো শর্তের কিছু নাই, যার যার রূপরেখা, কর্মসূচি ও চিন্তা-ভাবনা তারা প্রকাশ করতে পারে। প্রত্যেকের শর্ত একটি জায়গায় এনে যেগুলো কমন শর্ত হবে, তা গ্রহণযোগ্য হবে; যা এখন ফোরামে আলোচনায় উঠে আসছে। এখানে কোনো প্রতিপক্ষ নাই যে একজন আরেকজনকে শর্ত দেবে। জাতীয় ঐক্য গঠনে সমমনারাই একত্রিত হচ্ছে। বরং আমরাই সমন্বিতভাবে শর্ত দেবো বর্তমান শাসক দলকে। যার পর্যবেক্ষণ বিবেচনায় আন্দোলন ও নির্বাচনের দিকে এগুবে।’

সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল আরও বলেন, ‘বিএনপির আস্থা পুরোপুরি জনগণের ওপরে। তাই জনগণের চাহিদার সঙ্গে যারা তাল মিলাতে পারবে, তারাই আমাদের সঙ্গে থাকতে পারবে। তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক কেমন বা তাদের অতীতের ঠিকানা কী ছিল, এটা তেমন বিবেচ্য হবে না। বরং, জনগণের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সংহতি রেখে যারা পথ চলবে, তাদের সঙ্গেই থাকবে বিএনপি।’-প্রিয়.কম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়