শোভন দত্ত:মাত্র এক মাস আগে সৌদি থেকে নির্যাতিতা এক গৃহকর্মী দেশে ফিরেন। রুনা লায়লা (২৪) নামের এ তরুণী আজ হযরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরের শৌচাগারে (টয়লেটে) কিট নাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে সেফ হোমে নেয়া হয়েছে। তিনি সাভারের জিরানীর আজহার আলীর মেয়ে।
প্রবাসি কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা শেখ তারিকুল ইসলাম জানান, মেয়েটিকে উদ্ধার করে প্রথমে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ও পরে ঢামেক হাসপাতালে মেয়েটিকে নিয়ে যাই। চিকিৎসা শেষে রাত ১০টার দিকে রুনা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান। এখন তাকে কোন সেফ হোমে ও রাখা হবে।
হাসপাতাল ছাড়ার আগে রুনা লায়লা বলেন, ২০১৬ সালের ১৭ মার্চ সৌদি যান। তখন থেকে এক বাসায় গৃহর্কমীর কাজ করেন। কিন্তু গত ৮ মাস তাকে কোন বেতন দেয়নি সৌদি গৃহকর্তা। এছাড়ও তাদের অন্যায় অত্যাচারে এক সময় বাংলাদেশ অ্যাম্বেসির স্মরনাপন্ন হই। সেখানে লোকমান নামের এক স্টাফ আমোকে সহযোগীতা করেন। এক পর্যায়ে লোকমান আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্নভাবে প্রতারণা করেছে। এমনকি তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কও গড়ে উঠে আমার। আুিম কিটনাশক পান করার আগে একটি কাগজে লেখেছিলাম, ‘আমি যাদি মরে যাই, তাহলে আমার মৃত্যুর জন্য দ্বায়ি লোকমান, গোলামসহ ৩/৪জন।
তিনি আরো বলেন, গত ২৮ জুলাই দেশে এসেছি। কিন্তু আমার লাগেজ পাইনি। পওে মঙ্গলবার বিকেলে লস্ট এন্ড ফাউন্ড শাখার কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন জনের কাজে সাহায্য চেয়েছি পাইনি। আমার তিন বছরের কষ্টের আয়ে কেনা প্রায় ৪ লাখ টাকার মালামাল ছিল। কিন্তু আমি আমার লাগেজটি পাইনি। সৌদিতে লোকমান আমার লাগেজ নিজে বুকিং দিয়েছে বলে আমাকে জানিয়েছিল। কিন্তু লাগেজ পাচ্ছি না। এমনকি বিখাবে পাব তাও কেউ বলছেনা । পরে এক সময় টয়লেটে ঢুকে কিটনাশক পান করি। আমার বেঁচে থেকে কি লাভ।’
আপনার মতামত লিখুন :